স্টাফ রিপোর্টার// শাওন অরন্য:
বিয়ে হয়তো হয় পরিবারের পছন্দে অথবা নিজের পছন্দ করা ছেলের সাথে, কিন্তু বিয়ের পর ধীরে ধীরেই ভালবাসা কোন এক অজানা কারনে ফিকে হতে শুরু করে। দোষ পরিবারের নয়, কখনোবা নিজের পছন্দেরও নয়, দোষ বিপরীত মন মানসিকতার। অনেকের অভিযোগ- মানুষটা আর আগের মত ভালবাসেনা… কিন্তু ভাবার বিষয় হল ভালবাসা নেওয়ার ক্ষেত্রে তারা সেই আগের মতই সচেতন থাকে কিনা! স্বামীর কাছে শুধুমাত্র একটি চকলেট আশা করলে, সেই একটি চকলেট থেকে অর্ধেকটুকু স্বামীর জন্য রেখে দেওয়ার মানসিকতাও যে থাকতে হবে। স্বামী-স্ত্রী দুজন যদি দুজনের সহযোগী না হয় তবে স্ত্রীর জন্য যেমন সংসার জাহান্নাম ঠেকে, স্বামীর জন্য তাই। সংসারে ছোট ছোট অপ্রাপ্তিই একদিন দুজনের মধ্যে কংক্রিটের দেয়াল তৈরী করে। সাধ্যের বাইরের শখ গুলো না হয় অপূর্ণই থাকল কিন্তু ছোট ছোট চাওয়া গুলো পূরণ করলে সম্পর্ক মজবুত হয়। ব্যাপার খানা এরকম- কক্সবাজার দেখাতে না পারলেও বুড়িগঙ্গা তো দেখানোই যায়। চাওয়া এবং পাওয়ার মধ্যে মিল হয়ত নাও থাকতে পারে তাই বলে দুজনের প্রতি দুজনের অকৃতজ্ঞ হওয়া শোভনীয় নয় মোটেও। স্ত্রী যখন ভাবে দুজন একান্তে বসে একটু গল্প করার কথার কথা, স্বামী তখন অফিসের কাজ নিয়ে ব্যস্ত, স্বামী যখন স্ত্রীর কথা ভাবে, স্ত্রী তখন সাংসারিক কাজে ব্যস্ত, এমনো হয় কয়েক যুগ সংসার করার পরও কেউ কারও মনই বুঝতে পারে না। দেখেছি অতি বাস্তববাদী মেয়েটা বিয়ের পর অসম্ভব আবেগপ্রবণ হয়ে যায়, আর আবেগপ্রবণ ছেলেটি হয়ে যায় অসম্ভব বাস্তববাদী। কিন্তু সংসার এত বাস্তবতা, আবেগের হিসাব নিকাশ করে চলে না। সংসার সুখের করতে হলে ভালবাসা প্রয়োজন, প্রেম প্রয়োজন, রোমান্স প্রয়োজন, আদর-যত্ন প্রয়োজন, শ্রদ্ধা প্রয়োজন, স্যাক্রিফাইস প্রয়োজন।