24 C
Dhaka
মার্চ ২৯, ২০২৪
Bangla Online News Banglarmukh24.com
অর্থনীতি আইটি টেক জাতীয়

বাড়ছে মোবাইল খরচ, দুশ্চিন্তায় নিম্ন আয়ের মানুষ

 ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের কর প্রস্তাবে মোবাইল ফোনে সিম ও রিম কার্ডের ওপর আরোপিত সম্পূরক শুল্কহার ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশে উন্নীত করা হয়েছে। পাশাপাশি সিম কার্ডের ওপর আরোপিত শুল্ক ১০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২০০ টাকা করা হয়েছে।

এর ফলে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে নেওয়া বিভিন্ন সেবার খরচ বাড়ছে। আর গ্রাহকদের তাই এসব সেবা পেতে বাড়তি অর্থ খরচ করতে হবে। যার মাধ্যমে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয়ও বেড়ে যাবে।

মানুষের তাই ইন্টারনেট সেবা নেওয়া, বার্তা আদান-প্রদান, মোবাইল ফোনে কথা বলা ও আর্থিক সেবা নেওয়ার ক্ষেত্রে ব্যয় বাড়াতে হবে।

প্রস্তাবিত বাজেটে ৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপের ফলে মোবাইল ফোনে কথা বলতে গ্রাহককে আরও ৫ শতাংশ বেশি অর্থ খরচ করতে হবে। অর্থাৎ আগে যেখানে ১০০ টাকায় যতটুকু কথা বলা যেত, এখন সেই একই পরিমাণ কথা বলতে গুণতে হবে ১০৫ টাকা। আগামী ১ জুলাই থেকে সম্পূরক শুল্কের এই বাজেট কার্যকর হবে।

এছাড়াও প্রস্তাবিত বাজেটে মোবাইল ফোনের সিম বা রিম কার্ড ব্যবহারের মাধ্যমে প্রদত্ত সেবার বিপরীতে সম্পূরক শুল্ক ৫ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।

এখন প্রশ্ন হলো- মোবাইলে কথা বলতে ১০০ টাকায় একজন গ্রাহক তাহলে আসলে কতুটুকু ভ্যাট প্রদান করবে? মনে করিয়ে দেই, বর্তমানে মোবাইল ফোনে কথা বলার ক্ষেত্রে ১৫ শতাংশ ভ্যাট ও ৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপিত রয়েছে। এর সঙ্গে আরও ২ শতাংশ  সারচার্জ আরোপিত রয়েছে। সব মিলে এ খাতে করের হার ২২ শতাংশ। অর্থাৎ ১০০ টাকা মোবাইলে ভরলে কথা বলার সময় এ থেকে ২২ টাকা কর হিসাবে কেটে নেওয়া হয়।

আর প্রস্তাবিত বাজেটে করের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলার ওপর আরও ৫ শতাংশ  সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। ফলে এ খাতে সম্পূরক শুল্কের হার বেড়ে ১০ শতাংশে দাঁড়াচ্ছে। তবে ভ্যাটের হার অপরিবর্তিত রয়েছে। তাহলে সব মিলিয়ে এই খাতে মোট কর ২৭ শতাংশ হার দাঁড়াবে। অর্থাৎ এই প্রস্তাবিত কর কাঠামো বহাল থাকলে আগামী ১ জুলাই থেকে প্রতি ১০০ টাকায় গ্রাহককে ২৭ টাকা কর দিতে হবে। বর্তমানে গ্রাহককে ১০০ টাকায় ২২ টাকা দিতে হয়।

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ সস্থার (বিটিআরসি) হিসাব অনুযায়ী,  বর্তমানে দেশে এখন কার্যকর সংযোগের দিক থেকে মোবাইল গ্রাহকের সংখ্যা ১৬ কোটি অতিক্রম করেছে। এর মধ্যে প্রায় ৯ কোটি সিম বা রিমে ইন্টারনেট ব্যবহার হচ্ছে। ইন্টারনেট সেবা নেওয়ার খরচও বাড়বে। পাশাপাশি ম্যাসেজ পাঠানোতেও বাড়তি অর্থ খরচ হবে। কেননা মোবাইল ফোনের সিম বা রিম ব্যবহার করে যেসব সেবা নেওয়া হবে সেগুলোর ওপর কর বাড়ানো হয়েছে। সিম বা রিম ব্যবহার করে বর্তমানে কথা বলা, ইন্টারনেট সুবিধা নেওয়া, মেসেস  দেওয়া, আর্থিক সেবা নেওয়ার মতো কাজ করা হয়। তাই এসব খাতেও খরচ বাড়বে।

খাত সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, আগে যেখানে গ্রাহককে ৫০ পয়সার একটি এসএমএসের জন্য সম্পূরক শুল্ক, ভ্যাট ও সারচার্জসহ দিতে হতো প্রায় ৬১ পয়সা, এখন শুল্ক  বাড়ানোর কারণে সেটি দিতে হবে প্রায় ৬৪ পয়সা।

এছাড়া মোবাইল ফোন ব্যবহার করে আর্থিক সেবার (এমএফএস) ক্ষেত্রে হিসাবের ব্যালেন্স  জানতে মোবাইল অপারেটরদের ওপর ৪০ পয়সা সার্ভিস চার্জ আরোপ করা হয়েছিল। পরে  বিটিআরসি তা প্রত্যাহার করে নেয়।

বিটিআরসি বলছে, এক্ষেত্রে চার্জ আরোপের সুযোগ নেই। ফলে মোবাইল ব্যাংকিং সেবার আওতায় বিকাশ, রকেট, নগদ, ডাচ্-বাংলা ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংকের এমক্যাশ ও রূপালী ব্যাংকের শিওরক্যাশ, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের ইউক্যাশের মতো বিভিন্ন ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিংয়ের আওতায় খোলা হিসাবের ব্যালেন্স জানতে কোনো চার্জ দিতে হবে না।

সম্পর্কিত পোস্ট

মুক্তিযুদ্ধের প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ দিবস আজ

banglarmukh official

পাওনা টাকা ফেরত পেলো ইভ্যালির আরও ১০০ গ্রাহক

banglarmukh official

দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ বড় চ্যালেঞ্জ : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

banglarmukh official

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রথম ধাপের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ

banglarmukh official

পুলিশ সপ্তাহ-২০২৪ শুরু

banglarmukh official

৩৪ থেকে ৭০ পয়সা বাড়ছে বিদ্যুতের দাম

banglarmukh official