৩৭০ ধারা বাতিল করে জম্মু-কাশ্মীরকে খণ্ডিত করা এবং যুদ্ধ পরিস্থিতির সৃষ্টি গণতন্ত্রকামী জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য নয় বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান।
বুধবার (৭ আগস্ট) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ঐতিহাসিক সম্মতির মাধ্যমে স্বীকৃত সাংবিধানিকভাবে গৃহীত কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা ও বিশেষত্ব ভারতের স্বাধীনতার পর থেকে চলে আসছিল। সেক্যুলার ঘোষিত ভারতকে হিন্দুত্ববাদী শৃঙ্খলে শক্ত-পোক্ত করে বাঁধার অংশ হিসেবে গেরুয়াধারী বিজেপি সরকার বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে ৩৭০ ধারা ও ৩৫(ক) বাতিলের মধ্য দিয়ে পরিকল্পিতভাবে উসকানিমূলক পদক্ষেপ নিয়ে রাজ্য মর্যাদার স্থান থেকেও জম্মু-কাশ্মীরকে নিচে নামিয়ে আনল।
তিনি আরও বলেন, ‘২০১৮ সালে জম্মু-কাশ্মীর অ্যাসেম্বলি বাতিল করার মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রপতির আদেশে এই পরিবর্তনের ক্ষেত্র তৈরি করা হয়। ভারতের হিন্দুত্ববাদী বিজেপি সরকারের এই পদক্ষেপ শুধু ভারতবর্ষেই নয়, উপমহাদেশ জুড়ে সাম্প্রদায়িকতার অশান্তির ক্ষেত্র সম্প্রসারিত করে তুলতে পারে। জম্মু-কাশ্মীরকে খণ্ডিত করা এবং ১৪৪ ধারা জারি ও কারফিউ জারি করা, সাবেক দুই মুখ্যমন্ত্রীসহ রাজনীতিকদের গৃহবন্দি করে যুদ্ধ পরিস্থিতির মতো সেনা উপস্থিতির ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি ভারতের সেক্যুলার গণতন্ত্রকামী জনগণের কাছেও গ্রহণযোগ্য নয়।’
বিবৃতিতে বলা হয়, কাশ্মীরের সংখ্যাগুরু মুসলিম জনগোষ্ঠীকে সংখ্যালঘুতে পরিণত করা ও সম্পত্তির ব্যাপক হস্তান্তরের ভবিষ্যত নীল নকশা নিয়ে অগ্রসর হলে তা সংশয়, সংঘাত ও উগ্রবাদী তৎপরতাকে ক্রমাগত বাড়িয়ে তুলবে। এমনকি সন্ত্রাসবাদী নানা অপশক্তির নাক গলানোরও সুযোগ করে দিতে পারে। কাশ্মীরের বিশেষত্ব বাতিল করে এক অভিন্ন রাষ্ট্রীয় সংহতি বিধানের যুক্তি হাজির করা হলেও লুকানো উদ্দেশ্য অধীনস্ত করা। এর মধ্য দিয়ে দমন-পীড়ন অসমতা নতুন মাত্রায় বৃদ্ধি পাবে এবং বহু রাজ্যে নতুন বিতর্কের জন্ম দেবে।
আসাম পরিস্থিতি নিয়েও বাংলাদেশের জনগণের উদ্বেগের কারণ রয়েছে বলে জানান বাসদ সাধারণ সম্পাদক। তিনি ভারতের সকল গণতান্ত্রিক প্রগতিশীল জনগণের আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি রেখে বাংলাদেশের জনগণকে সেক্যুলার গণতান্ত্রিক শক্তি-নির্ভর সংগ্রামে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।