বরিশাল বিআরটিসির সাবেক ম্যানেজার জামিল হোসেনের বিরুদ্ধে সরকারি বিআরটিসি পরিবহন লিজে ব্যবহার করার অভিযোগ উঠেছে।২০১৭ সালের আগস্ট মাসে বরিশাল ডিপোতে ৩য় বারের মত যোগদান করেন মোঃ জামিল হোসেন।যোগদানের কিছুদিনের মাথায় ডিপোর সবথেকে লাভজনক বরিশাল টু আমুয়া রুটের গাড়ির অকেজো হওয়ার কথা বলে লিজ বাস পরিচালনা করা শুরু করেন।
এতে করে মাসিক ৭ লাখ টাকা হারে বছরে ৯৪ লাখ টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হয় বিআরটিসি। এতে করে লসের ভয়ে অন্যকোন ম্যানেজার এই ডিপোতে আসতে অনিচ্ছা প্রকাশ করে যা ছিল জামিল এর গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ।
এছাড়াও বরিশাল টু কাওরাকান্দি রুটেও লিজ বাস পরিচালনা শুরু করেন তিনি।এছাড়াও এই সকল রুটের বাস গুলি সাময়িক ত্রুটি দেখা দিলেই তার মেরামত না করে মাসের পর মাস ফেলে রেখে তাকে অকেজো দেখিয়ে সেই স্থানেই মাসোয়ারা গ্রহনের মাধ্যমে লিজ বাস পরিচালনা শুরু করেন। আর এই সকল গাড়িগুলোর মেরামতের দায়িত্বে নিয়োজিত ডিপোর কারিগর মোঃ আমির হোসেন ও এই দূর্নীতির সাথে জরিত বলে লিখিত অভিযোগ দেন ক্ষতিগ্রস্ত শতাধিক শ্রমিক ও চালকবৃন্দ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা জানান কন্ডাকটর আল ইমরান ও এই দূর্নীতির সাথে সম্পৃক্ত রয়েছেন। বর্তমানে ডিপোর ক্যাশিয়ারের দায়িত্বে নিয়োজিত তিনি।
একই ভাবে সরকারি অনুমোদিত পরিবহনগুলোকে নিজ মন মত জ্বালানি টোল,ফেরির রুটে পরিচালনার মাধ্যমে সীমাহীন ক্ষতির মুখে ফেলে দেয় যার ফলশ্রুতিতে শ্রমিক ও কর্মচারীদের বেতন ভাতা ৯-১০ মাস পর্যন্ত বকেয়া হয়ে গেছে। শ্রমিকরা যাতে মুখ খুলতে না পারে তাই তাদেরকে একের পর এক বদলি সহ বিভিন্ন ভয় ভীতি প্রদর্শন করেন।পরবর্তীতে জামিল হোসেনের বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ করা হলে বাধ্য হয়ে খুলনার ডিপোর ম্যানেজার জামশেত আলীর সাথে শান্তিচুক্তিতে দুইজন দুই ডিপোতে রদবদল হন।যার ফলশ্রুতিতে ডিপোর এই দুর্দিনেও যোগদানের কিছুদিনের মাথায় জামশেত আলী ডিপোর আরও ২ টি রুটে গাড়ি লীজ বরাদ্দ করেন।
এই রুট গুলি থেকে সরকারের কোটি কোটি টাকা আত্মসাত করছেন এই অসাধু ম্যানেজার ও তাদের সহোযোগীরা।
বর্তমানে বরিশাল বিআরটিসির প্রায় শতাধিক শ্রমিক ও কর্মচারীদের কারও ১৪ মাস আবার কারও ১৭ মাস পর্যন্ত বেতন বকেয়া হয়ে আছে।এমতাবস্থায় পরিবার পরিজন নিয়ে পথে বসার উপসম প্রায়।কোন কোন শ্রমিক টাকার অভাবে আত্মহত্যা করার মনোভাব প্রকাশ করেছেন।
অভিযোগ এর সত্যতা যাচাই করতে গেলে ডিপোর বর্তমান ম্যানেজার জামশেত আলী বেতন বকেয়ার জন্য উপরস্থদের দায়ী করেন।লীজ ব্যবসার বিষয়টি এরিয়ে জানান হেড অফিস থেকে লিজ দেয়া হয় এখানে ম্যানেজারের কোন হস্তক্ষেপ নেই।নষ্টগাড়ির মেরামতের দায়িত্ব তার কিনা জানতে চাইলে তিনি এ ব্যাপারে কিছু জানাতে সক্ষম হননি।
শ্রমিকদের বেতন ভাতা পরিশোধ করে সরকারি সম্পত্তি ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষার জন্য অনতিবিলম্বে বিষয়টি তদন্ত কমিটি গঠন এর মাধ্যমে অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী শ্রমিক ও তাদের অনাহারে থাকা পরিবারবর্গ।