অনলাইন ডেস্ক :
নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে ক্ষুব্ধ হয়ে ছাত্রলীগের কমিটি ভেঙে দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার রাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই নির্দেশ দেন।
গতরাতে গণভবনে দলের স্থানীয় সরকার ও সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের যৌথসভা ছিল। সেই সভায় প্রায় ১০ মিনিট আলোচনা হয় ছাত্রলীগের বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে। আওয়ামী লীগের নেতারাই তুলে ধরেন সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন তথ্য। এসব অভিযোগের পর ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ। বিশেষ করে তারা দুপুরের আগে ঘুম থেকে ওঠে না।
সভায় উপস্থিত একাধিক নেতা জানিয়েছেন, ছাত্রলীগের ওপর প্রধানমন্ত্রীর ক্ষোভের মাত্রা অনেক। যে কারণে সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী গণভবনে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলেও তিনি দেখা দেননি। সে সময় উপস্থিত কেন্দ্রীয় নেতারা তখন দুজনকে গণভবন থেকে চলে যেতে বলেন।
জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর এমন নির্দেশনার পর রাতেই দুই জন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে দেখা করতে যান শোভন-রাব্বানী। তবে দেখা পাননি। এরপর নিজেরাই কয়েক দফা বৈঠক করেন।
উল্লেখ্য, গত বছরের ১১ ও ১২ মে ছাত্রলীগের ২৯তম জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সম্মেলনের আড়াই মাস পর গত বছরের ৩১ জুলাই রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভনকে সভাপতি ও গোলাম রাব্বানীকে সাধারণ সম্পাদক করে দুই বছর মেয়াদী আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়।
এরপর দীর্ঘ এক বছর পর গত ১৩ মে ৩০১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়। পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণার পর পদ না পাওয়া ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের অনেকে আন্দোলন করে।