রাতুল হোসেন রায়হান:
অবশেষে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছেন বরিশালের বাবুগঞ্জের কৃতি সন্তান আল-নাহিয়ান খান জয়। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রানিত হয়ে বাবার হাত ধরে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হয়েছিলেন তিনি। বরিশাল জিলা স্কুলে অধ্যায়নরত অবস্থাতেই ছাত্রলীগের রাজনীতিতে হাতেখড়ি দেয়া জয় উপজেলা ছাত্রলীগের সম্পৃক্ত ছিলেন।
তাছাড়া ঢাকায় লেখাপড়া করার সুবাধে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে অবস্থান করে নেন তিনি। এসএসসি পাশ করে ঢাকা কমার্স কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক শেষ করেন জয়। তার দক্ষ নেতৃত্বের কারনেই এই কলেজে ছাত্রলীগের কার্যক্রম অনেকটা এগিয়ে যায়। এদিকে উচ্চ মাধ্যমিক সম্পন্ন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে ভর্তি হন আল নাহিয়ান খান জয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলে ছাত্রলীগের উপ-আইন বিষয়ক সম্পাদক এবং পরবর্তীতে সাধারণ সম্পাদক এর দায়িত্ব পালন করেন।
এর পর পরই তার ডাক আসে কেন্দ্রীয় কমিটিতে। আইন বিষয়ক সম্পাদক পদে নিজের অবস্থান সৃষ্টি করে নেন জয়। ছোটবেলা থেকেই মেধাবী জয় ঢাবি’র ভর্তি পরীক্ষার মেধা তালিকায় ১৬ তম স্থান লাভ করেছিল বলে জানা যায়। বর্তমানে সে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিমিনোলজি বিভাগে মাস্টার্সে অধ্যায়নরত। সাহসিকতা নিয়ে হরতাল প্রতিরোধ এবং পিকেটারদের ককটেল বোমাসহ ধরিয়ে দেওয়ায় ২০১৫ সালে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) থেকে পুরস্কার লাভ করেছিল সে।
সেই পুরস্কারের অর্থ বার্ণ ইউনিটে পেট্রোল বোমায় দগ্ধ অসহায় মানুষের চিকিৎসার্থে দান করেছিল মহৎপ্রাণ এই ছেলেটি। মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান জয়ের পূর্ব পুরুষ আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। তার বাবা আব্দুল আলীম খানের হাতে উপজেলা ছাত্রলীগ এর পথচলা। এরপর উপজেলা আওয়ামীলীগের বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।
মুক্তিযুদ্ধের সময় ৯ নম্বর সেক্টরের কার্যক্রম আল-নাহিয়ান খান জয়ের ঘরে বসেই হতো। ফুফু উপজেলা আওয়ামী মহিলা লীগের নেতৃত্ব দিয়েছেন। আল নাহিয়ান খান ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পাওয়ায় বাবুগঞ্জের সকল শ্রেণি পেশার মানুষের ভিতরে আনন্দের বন্যা বইছে। সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শুভেচ্ছা জানিয়ে নেতাকর্মীরা শুভেচ্ছা জানাচ্ছে বাবুগঞ্জে গর্ব আল নাহিয়ান খান জয়কে।
আল নাহিয়ান খান জয় বাবুগঞ্জের এক উজ্জ্বল নক্ষত্রে পরিণত হবে এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন সর্বজনে। শনিবার রাতে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। নাহিয়ান খান জয় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের ১ নম্বর সহ-সভাপতি ছিলেন।
উলেখ্য,নানাবিধ অভিযোগের মুখে থাকা কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের পদ হারান রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও গোলাম রাব্বানী। শনিবার রাতে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
এদিকে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পাওয়ায় আল নাহিয়ান খান জয়কে অভিনন্দন জানিয়ে বাবুগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও বাবুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ইকবাল আহম্মেদ আজাদের নেতৃত্বে এক বিশাল আনন্দ র্যালী বের হয়। রবিবার সকাল ১১ টায় বাবুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের দলীয় কার্যালয়ে সামনে থেকে এ র্যালীটি বাবুগঞ্জ বাজারের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে দলীয় কার্যালয়ে এসে শেষ হয়।
এ সময় শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি মোঃ শাহিনুল ইসলাম শিকদার, উপজেলা আ’লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক সাইনুর রহমান শিকদার, দেহেরগতি ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মশিউর রহমান, মাধবপাশা ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ জয়নাল আবেদীন, আ’লীগ নেতা সৈয়দ ফারুক মীর মুক্তিযোদ্ধা দেলোয়ার হোসেন, ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবু-সুফিয়ান, ছাত্রলীগ নেতা ফায়জুল হক মুন্না, ইউপি সদস্য ফিরোজ আলম প্রমূখ।