নিজস্ব প্রতিবেদক:
বরিশাল জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগের কমিটি মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে আরও ৫ বছর আগে। এরপরও কমিটি গঠনের নাম গন্ধ নেই এই দুই ইউনিটে। যে কারণে অনেকটা স্থবির ছাত্রলীগের কার্যক্রম। পাশাপাশি মহানগর ও জেলা ছাত্রলীগের কমিটিতে থাকা নেতারা এখন সক্রিয় না থাকায় কলেজগুলোতেও ভাটা পড়েছে ছাত্রলীগের কার্যক্রমে। ২০১১ সালে গঠিত বরিশাল জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগের কমিটির সভাপতি এবং সম্পাদক কেউই এখন বরিশালের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত নন। এদের মধ্যে মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবার বহিষ্কৃত হয়েছেন। এমন অবস্থায় তৃণমূল ছাত্রলীগ নেতাদের দাবি নতুন কমিটি গঠনের। তা না হলে বরিশালে নতুন নেতৃত্বের সৃষ্টিতে সমস্যা হবে বলে দাবি তাদের। জানা গেছে, ২০১১ সালের জুলাই মাসে জসীম উদ্দিনকে সভাপতি এবং অসীম দেওয়ানকে সম্পাদক করে মহানগর ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা করা হয়। অপরদিকে হেমায়েত উদ্দিন সেরনিয়াবাত সুমনকে সভাপতি ও আবদুর রাজ্জাককে সাধারণ সম্পাদক করে জেলা ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। ২০১৫ সালের পর থেকে মহানগর ছাত্রলীগের পদধারী এই নেতারা বরিশালের রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েন। ২০১৭ সালে মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক অসীম দেওয়ানকে নারায়গঞ্জের রূপগঞ্জ থানা পুলিশ অস্ত্রসহ আটকের পর তাকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়। কিন্তু জসীম উদ্দিন রাজনীতি বাদ দিয়ে এখন নেমেছেন ক্যাবল ব্যবসায়। তবে বরিশাল জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হেমায়েত উদ্দিন সেরনিয়াবাত ও সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক বরিশালে সক্রিয় রয়েছেন রাজনীতির মাঠে। এই দুই ইউনিটের কমিটিসহ বরিশালে ছাত্ররাজনীতির ফ্যাক্ট খ্যাত সরকারি বিএম কলেজের কমিটি নিয়ে দৌড়ঝাঁপ করছেন ৬ জন ছাত্রনেতা। তাছাড়া এদের নিয়েই আলোচনা রয়েছে সর্বমহলে। কেননা বরিশাল ছাত্রলীগ যতটুকু জীবিত রয়েছে, তা তাদের জন্যই রয়েছে। পাশাপাশি কিছু বিতর্কও রয়েছে এর মধ্যে কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে।
বিশ্বস্ত সূত্র জানিয়েছে,বরিশাল মহানগর ছাত্রলীগের মাইনুল ইসলাম, নূর আল আহাদ সাঈদী, রইজ আহম্মেদ মান্না ও বরিশাল জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি সাজ্জাদ সেরনিয়াবাত, আতিকুল্লাহ মুনিম, এবং জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রাজীব হোসেন খান বরিশাল ছাত্রলীগের কমিটির জন্য আলোচনায় রয়েছেন। এদের মধ্যে মহানগর ছাত্রলীগের কমিটিতে মাইনুল ইসলাম, নূর আল আহাদ সাঈদী ও রইজ আহম্মেদ মান্নাকে নিয়ে ও জেলা ছাত্রলীগের কমিটির জন্য আলোচনা চলছে সাজ্জাদ সেরনিয়াবাত ও রাজীব হোসেন খানকে নিয়ে। তবে আতিকুল্লাহ মুনিম বিএম কলেজ ও মহানগর ছাত্রলীগের অর্থাৎ এই উভয় ইউনিটের জন্যই আলোচনায় রয়েছেন। বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর অনুসারী আতিকুল্লাহ মুনিমকে অনেকে বিএম কলেজ ছাত্র সংসদ বাকসু’র অঘোষিত ভিপিও আখ্যা দিয়েছেন।এছাড়াও বর্তমানে বেশী আলোচনায় বা ফোকাস পয়েন্টে রয়েছে মহানগর ছাত্রলীগ নেতা মাইনুল ইসলাম। তবে জানা গেছে রইজ আহম্মেদ মান্না মহানগর যুবলীগের গুরুত্বপূর্ন পদের দাবীদার হতে পারেন ভবিষ্যতে। আরও সক্রিয় রয়েছে আরিফুর রহমান শাকিল ও ইমরান মোল্লা।
আলোচনায় থাকা এই ছাত্রনেতারা বলছেন, তারা দলের জন্য কাজ করছেন, দল যদি তাদের ভালো কোনো স্থানে রাখে তাতে দলেরই লাভ হবে। কমিটি গঠনের বিষয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় বলেন, কমিটি গঠন নিয়ে আমরা আন্তরিক। আলোচনা করে শীঘ্রই এই কমিটিগুলো গঠন করার উদ্যেগ নেয়া হবে।