অনলাইন ডেস্ক:
ক্যাসিনো কেলেঙ্কারিতে ব্যাংক হিসাব খতিয়ে তালিকায় এবার যুক্ত হলো সাংবাদিকের নাম। চলমান দুর্নীতিবিরোধী অভিযানকে কেন্দ্র করে ঢাকার অন্তত ১০ সাংবাদিকের ব্যাংক হিসাব খতিয়ে দেখছে বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। বিষয়টি বিএফআইইউ একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন।
নাম নাপ্রকাশের শর্তে বাংলাদেশ ব্যাংকের অবস্থানরত বিএফআইইউ একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা খোলা কাগজের কাছে বিষয়টি স্বীকার করেন। বিএফআইইউ থেকে জানানো হয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে অনেকের ব্যাংক হিসাব স্থগিত করা হয়েছে। এছাড়া আরও অনেকেরই ব্যাংক হিসাব খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এর মধ্যে সাংবাদিকরাও আছেন। ক্যাসিনো ব্যবসার নেপথ্যে থাকা ব্যক্তিদের পাশাপাশি গণমাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়ায় নাম আসা সাংবাদিকদের ব্যাংক হিসাব খতিয়ে দেখার নির্দেশনা রয়েছে। অন্তত ১০ সাংবাদিকের ব্যাংক হিসাব খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
জানা গেছে, রাজধানীর প্রীতম-জামান টাওয়ারে ক্যাসিনো ব্যবসার সঙ্গে দুজন সাংবাদিকের সম্পৃক্ত ছিল বলে অভিযোগ আছে। এ নিয়ে গত বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারি পল্টন মডেল থানার ওসি মাহমুদুল হক মতিঝিল বিভাগের উপ-কমিশনারকে লিখিতভাবে জানিয়েছিলেন। আরও কিছু সাংবাদিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তারা বিভিন্ন ক্যাসিনো মালিকের কাছ থেকে নিয়মিত আর্থিক সুবিধা নিতেন।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর বুধবার রাজধানীর ফকিরাপুল ইয়ংমেন্স ক্লাবের ক্যাসিনোয় অভিযান চালায় র্যাব। ওই রাতে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর ২০ সেপ্টেম্বর গুলশানের নিকেতন থেকে গ্রেফতার করা হয় ঠিকাদার জি কে শামীমকে। একই দিন গ্রেফতার হন কৃষক লীগ নেতা ও কলাবাগান ক্রীড়াচক্রের সভাপতি সফিকুল আলম ওরফে ফিরোজ। এরপর গত কয়েক দিনে বেশ কয়েকটি ক্যাসিনোয় অভিযান চালানো হয়েছে।
এর জেরে খালেদ, শামীম, ফিরোজ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট, ভোলা-৩ আসনের সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী শাওনসহ কয়েকজনের ব্যাংক হিসাব স্থগিত করা হয়েছে। এরই ধারাবাকিতায় যুক্ত হলো সাংবাদিকের নাম।