প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ৭৩ তম জন্মদিন আজ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৩ তম জন্মদিনে বাংলার মুখ টুইনটি ফোর ডট কম এর পরিবার থেকে জননেত্রীকে শুভেচ্ছা জানানো হয় । বাংলার মুখ টুইনটি ফোর ডট কম এর প্রকাশক ও সম্পাদক মুহা: পলাশ চৌদুরী তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক সহ বিভিন্ন বার্তায় শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
আধুনিক বংলাদেশের নায়ক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্ম ১৯৪৭ সালের ২৮শে সেপ্টেম্বর, গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায়। সেখানেই শৈশব-কৈশোর কাটে।
চুয়ান্ন’র নির্বাচনের পর বাবা-মায়ের সঙ্গে ঢাকায় চলে আসেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবার রহমানের জেষ্ঠ্য কন্যা। ১৯৫৪ সালে তিনি ঢাকায় টিকাটুলীর নারী শিক্ষা মন্দিরে বর্তমানে শেরে বাংলা গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ ভর্তি হন। ১৯৬৫ সালে আজিমপুর বালিকা বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক, ১৯৬৭ সালে ইন্টারমিডিয়েট গার্লস কলেজ (বর্তমানে বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা মহাবিদ্যালয়) থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন। ওই কলেজে পড়ার সময় তিনি ছাত্রসংসদের ভিপি নির্বাচিত হন। রাজনৈতিক পরিবারে বেড়ে ওঠা শেখ হাসিনা ষাটের দশকে শিক্ষার্থীজীবনে জড়িত হন প্রত্যক্ষ রাজনীতিতে। ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগে ভর্তি হন এবং ১৯৭৩ সালে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় ১৯৬৮ সালে পরমাণুবিজ্ঞানী ড. ওয়াজেদ মিয়ার সঙ্গে বিয়ে হয় শেখ হাসিনার।
১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট বিপথগামী একদল সেনা সদস্য যখন বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের হত্যা করে, তখন শেখ হাসিনা ও তাঁর বোন শেখ রেহানা জার্মানিতে ছিলেন ড. ওয়াজেদ মিয়ার বাসায়। মা-বাবাসহ স্বজনদের হারিয়ে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানার এক অবর্ণনীয় দুঃসহ জীবন শুরু হয়। নানা দেশ ঘুরে তাঁদের আশ্রয় মেলে প্রতিবেশী দেশ ভারতে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হারিয়ে দিশাহারা হয়ে যায় আওয়ামী লীগ। মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী দলটি হয়ে পড়ে বিভক্ত।
এই বিভক্ত আওয়ামী লীগকে ঐক্যবদ্ধ করতে ১৯৮১ সালের ফেব্রুয়ারিতে এক সম্মেলনের মধ্য দিয়ে ভারতে অবস্থানরত শেখ হাসিনাকে দলের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। ওই বছরই তিনি তৎকালীন শাসকদের বিরোধিতা উপেক্ষা করে দেশে ফিরে আসেন। মাত্র ৩৪ বছর বয়সে আওয়ামী লীগের মতো ঐতিহ্যবাহী দলের হাল ধরেন শেখ হাসিনা। বিরূপ রাজনৈতিক পরিস্থিতির সঙ্গে তাঁকে দলের অভ্যন্তরেও নানা প্রতিবন্ধকতা মোকাবেলা করতে হয়।
৭৫ এ প্রধানমন্ত্রীর বাবা-মা, আত্মীয়-স্বজনকে নির্মমভাবে হত্যার পর, শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা হয়েছে অন্তত ঊনিশবার। এত প্রতিকূলতার মধ্যেও, বঙ্গবন্ধুর খুনী ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের মধেদিয়ে ইতিহাসের কলঙ্কমোচন করেন তিনি। পাহাড়ে রক্তারক্তি বন্ধে করেছেন পার্বত্য শান্তি চুক্তি। তথ্য-প্রযুক্তি নির্ভর দেশ বিনির্মাণে পেয়েছেন সাফল্য। অর্থনৈতিক অগ্রগতি, নারীর ক্ষমতায়ন ও জঙ্গিবাদ দমনে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে উদাহরণ। তবু থেমে নেই শেখ হাসিনা। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশ গড়ার প্রত্যয়ে এগিয়ে চলেছেন সাধারণের মাঝে অসাধারণ এই নেত্রী। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নশীল দেশের পথে। সন্ত্রাস দমন ও নারীর ক্ষমতায়নের জন্য বঙ্গবন্ধু-কন্যা এখন আন্তর্জাতিক বিশ্বেও সমাদৃত। অনেক চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে তিনবার সরকার গঠন করেছেন শেখ হাসিনা। বিশ্ব দরবারেও সমাদৃত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই গ্র্যাজুয়েট দেশকে পরিণত করতে চান জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলায়।