মেয়র হিসাবে আমার নগরবাসীকে যেভাবে দেখি, সাংস্কৃতিক জগতকেও সে ভাবেই দেখি। আপনাদের যে কোন সহযোগীতায় আমাকে সব সময় কাছে পাবেন।
আজ শুক্রবার (৪ অক্টোবর) সকাল ১১ টায় নগরীর অশ্বিনী কুমার টাউন হলে দু-দিন ব্যপি ১১তম মৃৎশিল্পী সম্মেলন ও সম্মাননা অনুষ্ঠানের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, আমার শারিরীক শ্রম দিয়ে বিসিসির অভ্যন্তরের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার কারনেই চলতি বছর ১২ কোটি টাকা রাজস্ব এসেছে। যা বিসিসির ইতিহাসে এবারই প্রথম।
বিসিসিতে কিছু যন্ত্রপাতির সংকট রয়েছে এব্যাপারে আমি মন্ত্রনালয়ে আবেদন করেছি। সেগুলো আসলে আমি বরিশালকে একটি সুন্দর শহর হিসাবে নগরবাসীকে উপহার দেব।
তিনি আরো বলেন শহরের জলব্ধতা দুর করতে ড্রেনগুলো পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতার জন্য গুরুত্ব দিয়েছি।
এসময় তিনি পরিবেশ রক্ষার ক্ষেত্রে প্লাস্টিক ব্যবহার পরিত্যাগ করে সকলকে মাটির আসবাব পত্র ব্যবহার করার আহবান জানান।
বরিশাল চারুকলা সভাপতি আলতাফ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোঃ শাহাবুদ্দিন খান, বরিশাল ও খুলনা বিভাগের প্রত্নতত্ন আঞ্চলিক পরিচালক আফরোজা খান মিতা, বরিশাল বিসিক উপ-পরিচালক মোঃ জালিস মাহমুদ, বিশিষ্ট আইনজীবী ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তি এ্যাড. মানবেন্দ্র ব্যটকবল, বরিশাল সাংস্কৃতিক সংগঠন সমন্বয় পরিষদ সভাপতি কাজল ঘোষ, বরিশাল চেম্বার অব কমার্স পরিচালক মৃনাল কান্তি সাহা, ও ভানু লাল দে।
পড়ে সিটি মেয়র মৃৎ শিল্পীদের বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন এবং মৃৎ লিল্পীদের সাথে মাটির আসবাব পত্র তৈরী করেন তিনি। পড়ে সকলকে দেশীয় মৃৎশিল্পকে বাচিয়ে রাখার কথা বলেন।
এছাড়া সন্ধায় একই মঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে চারুকলা শিল্পিদের আবৃতি পাঠ, নৃত্যঙ্গনসহ রবিন্দ সংগীত ও নজরুল গীতি।