ভোলা প্রতিনিধি//মো: নিশাত ::
ভোলার ফেসবুক আইডির বিপ্লব চন্দ্র শুভর ভগ্নিপতি বিধান চন্দ্র মজুমদারকে ডিবি পরিচয়ে চরফ্যাশন উপজেলা থেকে একটি গ্রুপ তুলে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সোমবার রাতে উপজেলার দুলারহাট থানার রোদেরহাট বাজারের দোকান থেকে একটি গ্রুপ তাকে তুলে নিয়ে যায় বলে স্বজনরা জানান।
বিধানের বাড়ি একই এলাকায়।
এদিকে ভোলার বোরহানউদ্দিনে ফেসবুক হ্যাক করে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত কেন্দ্র করে সংঘর্ষের পর মঙ্গলবার জেলায় সব ধরনের সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করা রয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা টহলে রয়েছেন।
স্বজনদের অভিযোগ, বিপ্লব চন্দ্র শুভর ভগ্নিপতি বিধান চন্দ্র মজুমদারকে চরফ্যাশন উপজেলার দুলারহাট থানার রোদেরহাট বাজারের দোকান থেকে রাতে ডিবি পরিচয়ে একটি গ্রুপ তুলে নিয়ে যায়।
তবে ডিবির ওসি শহিদুল ইসলাম জানান, তাদের কোনো দল ওই অভিযানে যায়নি। বিষয়টি তারা জানেন না।
বাজারের দোকানিরা জানান, সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে একটি কালো গ্লাসের মাইক্রোবাস বাজারে আসে। ওই মাইক্রোবাস থেকে কয়েকজন নেমে বিধানকে ডেকে তুলে নিয়ে যায়।
এর পর থেকে তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ রয়েছে। ওই বাজারে বিধানের ছোট আকারের জুয়েলারি দোকান রয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন লালমোহন পশ্চিম চরউমেদ ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের মেম্বার আশরাফুল আলম টুলু।
দুলারহাট থানার ওসি মিজানুর রহমান পাটোয়ারী জানান, পুলিশের কোনো অভিযান ছিল না। তবে লোকমুখে শুনেছেন বিষয়টি।
এদিকে এ ঘটনায় নিহত চারজনের মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়া পরিবারের কাছে হস্তান্তরের পর দাফন করা হয়েছে।
অন্যদিকে আটক তিনজন বর্তমানে ভোলার জেলহাজতে রয়েছে। পরে আদালত তাদের জেলহাজতে পাঠান।