28 C
Dhaka
মার্চ ২৯, ২০২৪
Bangla Online News Banglarmukh24.com
জাতীয় রাজণীতি

সেই ভয়াল-বীভৎস জেলহত্যা দিবস আজ

 বাঙালি জাতির ইতিহাসের অন্যতম কলঙ্কিত দিন রক্তঝরা সেই ভয়াল-বীভৎস জেলহত্যা দিবস আজ ৩ নভেম্বর। স্বাধীন বাংলাদেশের যে কয়টি দিন চিরকাল কালো দিন হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে, তার একটি ৩ নভেম্বর। ১৯৭৫ সালের এদিনে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের নিরাপদ প্রকোষ্ঠে ঢুকে একদল দুষ্কৃতকারী হত্যা করে জাতীয় চার নেতাকে।

পচাত্তরের ১৫ই আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে নির্মম হত্যাকাণ্ডের ৮০ দিনের মাথায় মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমেদ, এএইচএম কামরুজ্জামান এবং ক্যাপ্টেন এম. মনসুর আলীকে কারাগারের ভেতরে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।

এর আগে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ঘাতকদের ইচ্ছায় গঠিত মন্ত্রিসভায় যোগদানের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিলেন এই চার নেতা। যার কারণে বিশ্বাসঘাতক খন্দকার মোশতাক আহমদের শাসনামলে তাদের গ্রেফতার করে কারাগারে নিক্ষেপ করা হয় এবং একপর্যায়ে তাদের হত্যার জন্য সেখানে ঘাতকদের পাঠানো হয়।

তাদের হত্যা করার আগে সেখানে দায়িত্বরত কারারক্ষীরা বাধা দিলে মোশতাকের পক্ষ থেকে নির্দেশ আসে ঘাতকদের কাজে সহায়তা করার জন্য। ঘাতকরা ভেতরে গিয়ে চার নেতাকে একত্র করে গুলি চালিয়ে ও বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা করে।

১৫ আগস্টের খুনিচক্রই জেলহত্যাকাণ্ড ঘটায়। তারা খবর পেয়েছিল, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ী সেনা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীরই একটি অংশ পাল্টা অভ্যুত্থান ঘটিয়েছে। জেলহত্যার মতো ঘটনা ঘটিয়ে তারা বিদেশে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। জেলহত্যার ঘটনা তদন্তে একটি বিচার বিভাগীয় কমিশন গঠিত হলেও সেটি স্বাভাবিকভাবে কাজ করতে পারেনি।

এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট থানায় একটি মামলাও দায়ের হয়েছিল। এর সবকিছুই কার্যত বাতিল বা বন্ধ হয়ে যায় একই বছরের ৭ নভেম্বর আরেকটি সেনা অভ্যুত্থানের ওপর ভর করে জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় আসার পর।

তিনি বঙ্গবন্ধু ও চার নেতা হত্যার ঘটনার তদন্ত ও বিচারের কোনো উদ্যোগ নেননি। বরং এসময় ইনডেমনিটি অধ্যাদেশের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের পথ রুদ্ধ করা হয়। চার নেতা হত্যার বিচারে কোনও আইনগত বাধা না থাকলেও সে প্রক্রিয়াও বন্ধ ছিল দীর্ঘ ২১ বছর। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে ইনডেমনিটি আদেশ বাতিল হওয়ার পর বঙ্গবন্ধু ও চার নেতার হত্যার বিচারের পথ সুগম হয়।

২০০৪ সালের ২০ অক্টোবর নিম্ন আদালত এই মামলার রায়ে তিন জনকে মৃত্যুদণ্ড ও ১২ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন। কিন্তু ২০০৮ সালের ২৮ আগস্ট হাইকোর্টের রায়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত দুই পলাতক আসামিকে বেকসুর খালাস এবং যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ পাওয়া চার জনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

আসামিদের খালাস করে দেওয়া হাইকোর্টের রায় বাতিল এবং বিচারিক আদালতের দেওয়া সাজা বহাল রাখার আর্জি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। এর পরিপ্রেক্ষিতে আপিল বিভাগ ২০১৩ সালের ৩০ এপ্রিল দুই আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে রায় দেন। এই দুই আসামি পলাতক থাকায় বিচারের রায় কার্যকর করা সম্ভব হয়নি।

সম্পর্কিত পোস্ট

মুক্তিযুদ্ধের প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ দিবস আজ

banglarmukh official

পাওনা টাকা ফেরত পেলো ইভ্যালির আরও ১০০ গ্রাহক

banglarmukh official

দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ বড় চ্যালেঞ্জ : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

banglarmukh official

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রথম ধাপের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ

banglarmukh official

পুলিশ সপ্তাহ-২০২৪ শুরু

banglarmukh official

৩৪ থেকে ৭০ পয়সা বাড়ছে বিদ্যুতের দাম

banglarmukh official