জানা গেছে, জেলা পরিষদ থেকে এক লাখ টাকা বরাদ্দ পায় উত্তর জুরকাঠি আজিজিয়া দাখিল মাদ্রাসার পুকুরের অনুকূলে একটি ঘাটলা নির্মানের জন্য। টেন্ডারে ঘটলা নির্মান কাজ পায় স্থানীয় ঠিকাদার নাজমুল ইসলাম বশির মৃধা। অভিযোগ রয়েছে, অত্যান্ত নিম্নমানের কাচামাল দিয়ে ঘাটলাটি নির্মান কাজ শুরু করে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ঘাটলার পিলার স্থাপনে কোন কলাম না করে শিমুলতলা সড়কে ফেলে রাখা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নদী ভাঙ্গনরোধে বসানোর জন্য রাখা পিলার এনে বসিয়ে ঘাটলা নির্মানকাজ শুরু করে। নির্মানকাজ শুরুর কয়েকদিনের মধ্যে ফাটল ধরে ঘাটলায়। বিষয়টি জেলা পরিষদকে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ জানালে ফাটলধরা স্থানে সংস্কার করে। কিন্তু গতকাল একপাশ থেকে আবার ভেঙ্গে পড়েছে বলে জানা গেছে। অবিযোগ রয়েছে, ঠিকাদার বশির মৃধা কাজের দেখভাল না করে স্থানীয় কয়েকজন শ্রমিককে ১৫ হাজার টাকায় চুক্তিেেত দিয়ে দিয়েছে ঘাটলা নির্মানের। শ্রমিকরা যেনতেনভাবে কাজ শেষ করেছে।
এ বিষয়ে নাজমুল ইসলাম বশির মৃধা বলেন, মূলত ঘূর্নিঝড়ের পানির কারনে কিচু অংশে ফাটল ধরেছিল। আমি তা ঠিক করে দিয়েছি। ঠিকাদার বশির মৃধা তার কাজ মিস্ত্রিদের কাছে সাব-কন্ট্রাকে দিয়েছেন বলে স্বীকার করে জানান, সংবাদটি প্রকাশ হলে আমার সামাজিকভাবে হেয় হতে হবে। এছাড়া আর কিচুই হবে না। ৪০ হাজার টাকা মাদ্রাসা ফান্ড থেকে নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এর কোন উত্তর দেননি।
ঝালকাঠি জেলা পরিষদের সহকারী-প্রকৌশলী সাইদুর রহমান জানান, কাজটি পেয়েছে বশির মৃধা নামে এক ঠিকাদার। তার কাজে অনয়িম হচ্ছে বলে শুনেছি। আমি পুরো বিষয়টি জানি না। ঘাটলা নির্মাণকাজে ৪০ হাজার টাকা জেলা পরিষদকে ঘুষ দিতে হয়েছে মর্মে অভিযোগের বিষয়ে সাইদুর রহমান বলেন-যদি টাকা নিয়ে থাকে তাহলে সেটা অন্যায় করেছেন। যারা দিয়েছেন তারা সেই টাকা ফেরত চাইবে। যদি নিয়ে থাকে তাহলে সেই টাকা ফেরত না দেওয়া পর্যন্ত ও কাজ সঠিকমানের না হওয়া পর্যন্ত বিল পরিশোধ করবো না।