দেশে বর্তমানে সাড়ে ছয় লাখ টনের বেশি ভোজ্য লবণ মজুত রয়েছে জানিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, কোনোভাবেই লবণের দাম বড়ার কারণ নেই। আমাদের দেশীয় লবণ চাষিদের সুবিধা দেয়ার জন্য আমরা আমদানিও বন্ধ করে রেখেছি। এটা এক-শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ীরা বাড়িয়েছে। তাই ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অভিদফতরের প্রধানকে বলেছি, ‘এ মুহূর্তে বাজার মনিটরিং করে জড়িতদের জেল-জরিমানা করেন। যাকে জেল দেয়া দরকার তাকে জেল দেন, যাকে জারিমানা করা দরকার তাকে জরিমানা করেন।’
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘লবণের বিষয়ে আমাদের সরকারের তরফ থেকে একটাই কথা, এটা শুধু একটা গুজবে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অবাস্তব সুযোগ নিয়েছে। যদিও লবণের বিষয়টা শিল্প মন্ত্রণালয় দেখে, তারপরও আমি আসার আগে এ খবরটাও নিয়ে এসেছি। দেশে বর্তমানে সাড়ে ৬ লাখ টন লবণ মজুত রয়েছে।
এদিকে গুজব ছড়িয়ে বেশি দামে লবণ বিক্রি করায় নেত্রকোণায় তিন ব্যবসায়ীর অর্থদণ্ড হয়েছে, হবিগঞ্জে সাজা দেয়া হয়েছে চারজনকে। ঠাকুরগাঁও ও গোপালগঞ্জে দুজনকে আটক করা হয়েছে।
এসব স্থানে গুজব ছড়িয়ে পড়ার পর মানুষ ব্যাপক হারে লবণ কিনতে শুরু করলে দাম কয়েকগুণ বেড়ে যায় এবং একপর্যায়ে অধিকাংশ দোকানে লবণ শেষ হয়ে যায়।
নেত্রকোণার খালিয়াজুরি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এএইচএম আরিফুল ইসলাম বলেন, গুজব ছড়ানোর পর চরাঞ্চলের সহজ-সরল মানুষ হুড়াহুড়ি করে লবণ কিনতে ভিড় জমায় বিভিন্ন দোকানে। কেউ কেউ ৫ কেজি, কেউ কেউ ২০ কেজি করে লবণ কিনছিলেন।
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় গুজব ছড়িয়ে পড়ে যে লবণের কেজি ২০০ টাকা হয়ে যাবে। এতে ক্রেতারা হুমড়ি খেয়ে পড়ায় মঙ্গলবার দুপুরের আগে ডিলার ও অনেক পাইকারির ব্যবসায়ীর গুদাম শূন্য হয়ে যায়। ঢাকাতে অস্বাভাবিক দামে লবণ বিক্রি হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।