ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে পুড়েছে বরিশালের রূপাতলীতে সোনারগাঁও টেক্সটাইল মিলের তুলার গোডাউন। এতে কোন হতাহতের খবর না পাওয়া গেলেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। শুক্রবার গভীর রাতের এই অগ্নিকাণ্ড নিয়ন্ত্রণে নিতে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ অংশ নিলেও তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করা সম্ভব হয়নি। এ ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে অগ্নিকান্ডের কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
সোনারগাঁও টেক্সটাইল মিলের কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ জানান, শুক্রবার রাত দেড়টার দিকে মিলের পেছনের তুলার গোডাউনে আকস্মিক ধোঁয়া দেখতে পায় কর্মরত শ্রমিকেরা। মুহূর্তের মধ্যেই সেই আগুন তুলার গোডাউনে ছড়িয়ে পড়ে। শ্রমিকেরা আগুন নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে পরিস্থিতি বেগতিক অনুমানে নিয়ে ফায়ার সার্ভিস অফিসের খবর দেয়। পরে ফায়ার সার্ভিসের বেশ কয়েক টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার চেষ্টা চালায়। কয়েক ঘণ্টা পরে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসলেও এর আগেই তুলার গোডাউনটি পুরোপুরি পুড়ে যায়। এ আগুনের সূত্রপাত কী তা প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
বরিশাল ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের সহকারি-পরিচালক আব্দুল হামিদ বলেন, তাদের ৭টি ইউনিট প্রায় ৫ ঘণ্টার বেশি সময় চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। পাশে সুতা তৈরির একটি বেশ কয়েকটি মেশিন ছিল, যেগুলো রক্ষা পেয়েছে। যথা সময়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে নেওয়া না গেলে মেশিনগুলো পুড়ে যেতো এবং আগুনের ব্যপ্তি পুরো টেক্সটাইল মিলে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা ছিল।
তবে এই আগুনের সূত্রপাত বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের হতে পারে এমন ধারনা জানান দিয়ে ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক নুরুল ইসলাম বরিশালটাইমসকে বলছেন- ঘটনাটি তদন্তে একটি কমিটি গঠনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এ কমিটি অগ্নিকান্ড সংগঠিত হওয়ার কারণ এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তদন্ত করে দেখবে।
গভীর রাতে অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে বরিশাল মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে জানিয়ে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল ইসলাম বলেন- এ ঘটনায় কোন হতাহতের খবর নেই।’