অনলাইন ডেস্ক ::
বরিশালে জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন কর্মসূচির আওতায় ১৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধনী কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) বরিশাল নগরের হোটেল গ্র্যান্ডপার্কে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ।
সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইসরাইল হোসেনের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. সোহরাব হোসাইন, বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. শাহাবুদ্দিন খান, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মো. শহীদুল ইসলাম, প্রকল্পের অর্থায়নকারী সংস্থা জার্মানির কেএফডব্লিউ’র ঢাকা অফিসের কান্ট্রি ডিরেক্টর অনির্বাণ কুন্ডু। আরও অতিথি ছিলেন জার্মানির কোকস জিএমবিএইচ এর টিম লিডার দিপক গুজরাল।
কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সিটি মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ এই প্রকল্পের সাফল্য কামনা করে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাবনা রয়েছে আমাদের স্বপ্নের বাংলার ভেনিসকে আগের জায়গায় নিয়ে যেতে। তার সেই ভাবনা বাস্তবায়নে আমরা যদি সবাই একসঙ্গে কাজ করতে পারি, তাহলে আগামীর সুন্দর বরিশাল গড়া সম্ভব।
তিনি বলেন, নগরীর খালগুলো ভরাট হয়ে যাওয়ার কারণেই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। খালগুলো পুনরুদ্ধারে আমাদের কাজ করতে হবে।
কাজের মান নিশ্চিত করার জন্য সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানিয়ে মেয়র বলেন, টেকসই উন্নয়ন পেতে হলে ব্যক্তিস্বার্থের কথা ভুলে গিয়ে সমষ্টিগত উন্নয়নের কথা চিন্তা করতে হবে।
জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন প্রকল্পের পরিচালক বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী খান মো. নুরুল ইসলাম জানান, জার্মানির কেএফডব্লিউ এর আর্থিক সহায়তায় বরিশাল নগরে ১৩০ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে।
এই কর্মশালার মাধ্যমে প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। আগামী ১ মাসের মধ্যে প্রকল্পের সরেজমিন কাজ শুরু হবে।
প্রকল্পের আওতায় বন্যার পানি থেকে বাঁচতে নগরের পলাশপুর, রসুলপুর ও কলাপট্টি বস্তির ২০৬টি ঘর উঁচুকরণ, কলাপট্টি বস্তির ৬০২ মিটার ড্রেনেজ উন্নয়ন ও ২ ইউনিট করে ২০টি টয়লেট নির্মাণ, ৮টি বস্তিতে পাইপলাইনের মাধ্যমে সুপেয় পানি সরবরাহ, ৩ দশমিক ৪৮ কিলোমিটার সড়ক উন্নয়ন, ২২ দশমিক ৭০ কিলোমিটার ড্রেন পুনর্নির্মাণ, নগরের সাগরদী খালের ২ দশমিক ৫০ কিলোমিটার পুনঃখনন ও খালের দুই পাড়ে ওয়াকওয়ে নির্মাণ এবং নগরের বিভিন্ন এলাকায় ৭ দশমিক ১০ কিলোমিটার খাল পুনঃখনন করা হবে।