অবশেষে সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের নতুন কমিটির সাধারণ সম্পাদক পদে আসীন হয়েছেন বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের নতুন কমিটির সভাপতি হিসেবে একেএম জাহাঙ্গীর, সাধারণ সম্পাদক হিসেবে সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ এবং বরিশাল মহানগর আওয়ামীলীগের সদ্যবিদায়ী সভাপতি অ্যাড. গোলাম আব্বাস চৌধুরী দুলালকে আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হিসেবে ঘোষণা করেন।
গতকাল রবিবার বরিশাল ক্লাবে আয়োজিত মহানগর আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে কাউন্সিলরদের কণ্ঠভোটে তাদের নির্বাচিত করা হয়। এদিকে সর্বশেষ ২০১৬ সালের ২০ অক্টোবর মহানগর আওয়ামী লীগের ৭১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠিত হয়। ওই কমিটিতে অ্যাড. গোলাম আব্বাস চৌধুরী দুলালকে সভাপতি, অ্যাড. জাহাঙ্গীর হোসেনকে সাধারণ সম্পাদক এবং সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহকে যুগ্ম সম্পাদক করা হয়েছিল।
সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য হিসেবে বরিশালে রাজনীতির পথচলা শুরু হয়। বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে মহানগর আওয়ামী লীগের বিচ্ছিন্ন নেতাকর্মীদের একত্রিত করে বরিশালকে আওয়ামী লীগের দুর্গ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। এরপর ২০১৮ সালের ৩০ জুলাই বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে নগর পিতা হিসেবে আসীন হয়ে সিটি কর্পোরেশনের ৩০টি ওয়ার্ডের ত্যাগী ও নির্যাতিত নেতাকর্মীদের সু-সংগঠিত করার পাশাপাশি দলের কান্ডারী হিসেবে সর্বস্তরে বেশ সুনাম অর্জন করেন এবং নেতাকর্মীদের একত্রিত করে তার রাজনৈতিক হাত আরো শক্তি করেন।
এক সময় বরিশাল বিএনপির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত ছিলো। যা এখন মেয়র সাদিক আবদুল্লাহর বদৌলতে আওয়ামী লীগের দুর্গে পরিণত হয়েছে। আর এই জনপ্রিয়তাই আজ মেয়র সাদিক আবদুল্লাহকে বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে জয়ী হতে বড় পুঁজি হিসেবে কাজ করেছে।
এ দিকে বরিশাল সিটি করপোরেশনের ৩০টি ওয়ার্ডে মহানগর আ’লীগের উদ্যোগে করা হয় ওয়ার্ড ভিত্তিক সম্মেলন। ২০ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এই সম্মেলন কোনো বাধা-বিপত্তি কিংবা অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই ২৮ দিনের মাথায় গত ১৫ নভেম্বর শেষ হয়। আর এবারই প্রথম ওয়ার্ড আ’লীগের কমিটিতে সভাপতি ও সম্পাদকের পদে যারা রয়েছেন তারা যেমন নতুন, তেমনি সম্পাদক পদপ্রাপ্তদের মধ্যে বেশিরভাগই তরুণ, যা নিয়ে তৃণমূলের কর্মীরা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
পাশাপাশি গঠিত কমিটি নিয়ে কোনো ক্ষোভ বা প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি তাদের মাঝে। এছাড়া বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন সফল করার লক্ষ্যে সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ রাত দিন পরিশ্রম করে গেছেন।
ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন সফল করার লক্ষ্যে সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর পরিশ্রমের প্রশংসা করেছেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতারা।
বিসিসি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ সম্পর্কে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য আমির হোসেন আমু বলেন, সাদিক পরিশ্রমী নেতা। তার পরিশ্রমের ফলে আজ বরিশাল নগরী সুন্দর নগরীতে রূপ নিচ্ছে।
আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বিসিসি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ সম্পর্কে বলেন, লোকের অভাব নেই, বরিশাল একটি ছোট্ট সিটি, সেই সিটিতে সম্মেলনে আমাদের কতো কর্মী! এটাতো জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে। সাদিক বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র। সাদিক পরিশ্রমের মাধ্যমে বরিশাল নগরীকে নতুন করে করে গড়ে তুলছেন। সাদিক এই ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে অনেক পরিশ্রম করেছেন।
এছাড়া কেন্দ্রীয় আ’লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান, কেন্দ্রীয় আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, কেন্দ্রীয় আ’লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. শাম্মী আহমেদ, কেন্দ্রীয় আ’লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অ্যাড. আফজাল হোসেনও বরিশাল মহানগর আ’লীগের নতুন সাধারণ সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর প্রশংসা করেন।
সাদিক আবদুল্লাহ দলের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ায় নগরীর ৩০টি ওয়ার্ডের আ’লীগের নেতাকর্মীরা আনন্দিত।
দলের নেতাকর্মীরা জানান, অবশেষে আমরা আমাদের পছন্দের নেতাকে দলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে পেয়েছি। আমার আজ আনন্দিত। সাদিক ভাই এতদিন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দলকে সংগঠিত করেছেন। এখন আওয়ামী লীগ পূর্বের চেয়ে আরও বেশি সংগঠিত হবে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ আ’লীগের বরিশাল বিভাগের দায়িত্বে থাকা সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম দ্বিতীয় অধিবেশনে কাউন্সিলরদের কাছ থেকে সভাপতি ও সম্পাদক পদের প্রার্থীদের নাম জানতে চান। এ সময় কাউন্সিলররা সভাপতি পদে সদ্য বিলুপ্ত বরিশাল মহানগর আ’লীগের কমিটির সভাপতি অ্যাড. গোলাম আব্বাস চৌধুরী দুলাল ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. একেএম জাহাঙ্গীরের নাম প্রস্তাব করেন।
পাশাপাশি সাধারণ সম্পাদক পদে পূর্ববর্তী কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর নামও প্রস্তাব করা হয়। এ সময় সভাপতি পদে গোলাম আব্বাস চৌধুরী দুলাল স্বেচ্ছায় অ্যাড. একেএম জাহাঙ্গীরকে সমর্থন দেন।
পরে কাউন্সিলরদের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে সভাপতি ও সম্পাদক পদে একজন করে প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়।
অবশেষে সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের নতুন কমিটির সাধারণ সম্পাদক পদে আসীন হয়েছেন বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের নতুন কমিটির সভাপতি হিসেবে একেএম জাহাঙ্গীর, সাধারণ সম্পাদক হিসেবে সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ এবং বরিশাল মহানগর আওয়ামীলীগের সদ্যবিদায়ী সভাপতি অ্যাড. গোলাম আব্বাস চৌধুরী দুলালকে আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হিসেবে ঘোষণা করেন।
গতকাল রবিবার বরিশাল ক্লাবে আয়োজিত মহানগর আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে কাউন্সিলরদের কণ্ঠভোটে তাদের নির্বাচিত করা হয়। এদিকে সর্বশেষ ২০১৬ সালের ২০ অক্টোবর মহানগর আওয়ামী লীগের ৭১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠিত হয়। ওই কমিটিতে অ্যাড. গোলাম আব্বাস চৌধুরী দুলালকে সভাপতি, অ্যাড. জাহাঙ্গীর হোসেনকে সাধারণ সম্পাদক এবং সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহকে যুগ্ম সম্পাদক করা হয়েছিল।
সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য হিসেবে বরিশালে রাজনীতির পথচলা শুরু হয়। বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে মহানগর আওয়ামী লীগের বিচ্ছিন্ন নেতাকর্মীদের একত্রিত করে বরিশালকে আওয়ামী লীগের দুর্গ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। এরপর ২০১৮ সালের ৩০ জুলাই বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে নগর পিতা হিসেবে আসীন হয়ে সিটি কর্পোরেশনের ৩০টি ওয়ার্ডের ত্যাগী ও নির্যাতিত নেতাকর্মীদের সু-সংগঠিত করার পাশাপাশি দলের কান্ডারী হিসেবে সর্বস্তরে বেশ সুনাম অর্জন করেন এবং নেতাকর্মীদের একত্রিত করে তার রাজনৈতিক হাত আরো শক্তি করেন।
এক সময় বরিশাল বিএনপির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত ছিলো। যা এখন মেয়র সাদিক আবদুল্লাহর বদৌলতে আওয়ামী লীগের দুর্গে পরিণত হয়েছে। আর এই জনপ্রিয়তাই আজ মেয়র সাদিক আবদুল্লাহকে বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে জয়ী হতে বড় পুঁজি হিসেবে কাজ করেছে।
এ দিকে বরিশাল সিটি করপোরেশনের ৩০টি ওয়ার্ডে মহানগর আ’লীগের উদ্যোগে করা হয় ওয়ার্ড ভিত্তিক সম্মেলন। ২০ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এই সম্মেলন কোনো বাধা-বিপত্তি কিংবা অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই ২৮ দিনের মাথায় গত ১৫ নভেম্বর শেষ হয়। আর এবারই প্রথম ওয়ার্ড আ’লীগের কমিটিতে সভাপতি ও সম্পাদকের পদে যারা রয়েছেন তারা যেমন নতুন, তেমনি সম্পাদক পদপ্রাপ্তদের মধ্যে বেশিরভাগই তরুণ, যা নিয়ে তৃণমূলের কর্মীরা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
পাশাপাশি গঠিত কমিটি নিয়ে কোনো ক্ষোভ বা প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি তাদের মাঝে। এছাড়া বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন সফল করার লক্ষ্যে সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ রাত দিন পরিশ্রম করে গেছেন।
ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন সফল করার লক্ষ্যে সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর পরিশ্রমের প্রশংসা করেছেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতারা।
বিসিসি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ সম্পর্কে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য আমির হোসেন আমু বলেন, সাদিক পরিশ্রমী নেতা। তার পরিশ্রমের ফলে আজ বরিশাল নগরী সুন্দর নগরীতে রূপ নিচ্ছে।
আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বিসিসি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ সম্পর্কে বলেন, লোকের অভাব নেই, বরিশাল একটি ছোট্ট সিটি, সেই সিটিতে সম্মেলনে আমাদের কতো কর্মী! এটাতো জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে। সাদিক বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র। সাদিক পরিশ্রমের মাধ্যমে বরিশাল নগরীকে নতুন করে করে গড়ে তুলছেন। সাদিক এই ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে অনেক পরিশ্রম করেছেন।
এছাড়া কেন্দ্রীয় আ’লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান, কেন্দ্রীয় আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, কেন্দ্রীয় আ’লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. শাম্মী আহমেদ, কেন্দ্রীয় আ’লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অ্যাড. আফজাল হোসেনও বরিশাল মহানগর আ’লীগের নতুন সাধারণ সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর প্রশংসা করেন।
দলের নেতাকর্মীরা জানান, অবশেষে আমরা আমাদের পছন্দের নেতাকে দলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে পেয়েছি। আমার আজ আনন্দিত। সাদিক ভাই এতদিন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দলকে সংগঠিত করেছেন। এখন আওয়ামী লীগ পূর্বের চেয়ে আরও বেশি সংগঠিত হবে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ আ’লীগের বরিশাল বিভাগের দায়িত্বে থাকা সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম দ্বিতীয় অধিবেশনে কাউন্সিলরদের কাছ থেকে সভাপতি ও সম্পাদক পদের প্রার্থীদের নাম জানতে চান। এ সময় কাউন্সিলররা সভাপতি পদে সদ্য বিলুপ্ত বরিশাল মহানগর আ’লীগের কমিটির সভাপতি অ্যাড. গোলাম আব্বাস চৌধুরী দুলাল ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. একেএম জাহাঙ্গীরের নাম প্রস্তাব করেন।
পাশাপাশি সাধারণ সম্পাদক পদে পূর্ববর্তী কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর নামও প্রস্তাব করা হয়। এ সময় সভাপতি পদে গোলাম আব্বাস চৌধুরী দুলাল স্বেচ্ছায় অ্যাড. একেএম জাহাঙ্গীরকে সমর্থন দেন।
পরে কাউন্সিলরদের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে সভাপতি ও সম্পাদক পদে একজন করে প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়।