জনসমাগম দেখলেই জনবিস্ফোরণের আশঙ্কায় শিউরে উঠছে। অথচ গণধিকৃত আওয়ামী লীগ সরকার বরাবরই বিএনপির শান্তিপূর্ণ সভা-সমাবেশগুলোকে প- করতে প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে ব্যবহার করে আসছে। নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে শনিবার (২০ জুলাই) দেয়া এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এসব বলেন। এসময় চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমাবেশে যোগদানের প্রস্তুতি গ্রহণকালে দলের বিভিন্ন নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে প্রতিবাদ জানান তিনি।
গত শুক্রবার ফেনী জেলা বিএনপি’র প্রচার সম্পাদক গাজী হাবিব উল্লাহ মানিক, জেলা যুবদল সভাপতি জাকির হোসেন জসিম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দল সভাপতি সাইদুর রহমান জুয়েল, সদর উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক আতিকুর রহমান মামুন, দাগণভূঁইয়া উপজেলা যুবদলের সভাপতি হাসানুজ্জামান শাহাদাৎ, ফেনী পৌর যুবদলের সমন্বয়ক জাহিদ হোসেন বাবলু, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি শরীফুল ইসলাম এবং ফেনী পৌর যুবদল নেতা কাজী সোহাগকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল বলেন, গত ১৮ জুলাই ২০১৯ বরিশালে বিএনপি’র উদ্যোগে বিশাল সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে, কিন্তু সেখানে সরকার নানাভাবে বিএনপি নেতাকর্মীদেরকে হয়রানি করেছে। তারই ধারাবাহিকতায় সরকার চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত বিএনপি’র বিভাগীয় সমাবেশকে বানচাল করার সুপরিকল্পিত অংশ হিসেবে সংশ্লিষ্ট বিভাগের বিভিন্ন জেলা বিএনপি’র নেতাকর্মীদেরকে ভীত সন্ত্রস্ত রাখতে গ্রেপ্তারসহ নানামুখী হয়রানি করছে।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, জনগণ নয় বরং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসন যন্ত্রকে কব্জায় নিয়ে রাষ্ট্রক্ষমতায় টিকে থাকতে চায় বর্তমান শাসকগোষ্ঠী। দেশব্যাপী জনগণের মধ্যে আতংক সৃষ্টির জন্য হত্যা, গুপ্তহত্যা, গুম, অপহরণসহ নারী-শিশুদের উপর নির্যাতনের মতো ভয়ংকর মানবতাবিরোধী ঘটনা সংঘটনের পাশাপাশি বিরোধী দলের নেতাকর্মীরা জনগণকে সাথে নিয়ে যাতে বর্তমান দুঃশাসনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে না পারে সেজন্য তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করে গ্রেপ্তারের মাধ্যমে কারাগারে বন্দী করে রাখার মতো অপকৌশলের আশ্রয় নিয়েছে ভোটারবিহীন সরকার।