করোনার সর্বগ্রাসী রূপ খুব না হলেও খানিকটা কমেছে যুক্তরাজ্যে। তাই ইংল্যান্ডে আবার ক্রিকেট চালুর কথা ভাবা হচ্ছে। জুলাই মাসে ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ আয়োজনের সূচি চূড়ান্ত করে ফেলেছে ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)।
করোনার সংক্রমণ আরও কমে আসলে এবং সব কিছু ঠিক থাকলে হয়তো ঐ সময় ক্রিকেটের জন্মভূমিতে ক্রিকেট আবার মাঠে ফিরবে। তা না হয় হলো। কিন্তু বাংলাদেশে কবে ক্রিকেট চালু হবে?
বর্তমান পরিবেশ-প্রেক্ষাপটে তা ভাবার মানুষও কম। অতি বড় ক্রিকেট ভক্তও এখন করোনার ভয়াবহতায় যারপরণাই শঙ্কিত। এখন গোটা দেশে করোনা ছড়িয়ে পড়েছে। আক্রান্তের পাশাপাশি মৃত্যু সংখ্যাও হু হু করে বাড়ছে প্রতিদিন।
এই অবস্থায় দেশে ক্রিকেট চালুর চিন্তা প্রায় অলীক কল্পনার সামিল। সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, বোর্ড ও ঢাকার ক্লাব ক্রিকেটের আয়োজক-ব্যবস্থাপক সিসিডিএম কর্তৃপক্ষের মাথায় আপাতত প্রিমিয়ার লিগ শুরুর কোনো চিন্তাও নেই। বর্তমান প্রেক্ষাপট ও অবস্থায় তা থাকার কথাও না।
আসলে এখন করোনার যে অবস্থা, তাতে করে বোদ্ধা-বিশেষজ্ঞ, চিকিৎসক সবাই সৃষ্টিকর্তার মুখাপেক্ষী হয়ে আছেন। মহান সৃষ্টার দয়ায় কবে নাগাদ বিশ্ব করোনামুক্ত হবে, তা আগাম বলারও কেউ নেই।
তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, জুন ও জুলাইতে বাংলাদেশে করেনা সংক্রমণ বাড়বে এবং তারপর কমতে পারে। তার মানে ধরেই নেয়া যায়, জুন ও জুলাইতে বাংলাদেশে করোনা সংকট কাটিয়ে ঘরোয়া খেলাধুলা চালুর সম্ভাবনা খুব কম।
এরই মধ্যে জুন মাস শুরু হয়ে গেছে। এ মাসের মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে শুরু হবে বৃষ্টি। যা জুলাইতে গিয়ে আরও বাড়বে প্রতি বছর তাই-ই দেখা যায়। জুনের মাঝামাঝি থেকে তৃতীয় সপ্তাহের মধ্যে শুরু হয়ে যায় পুরো বর্ষাকাল। চলবে আগস্ট অবধি।
ধরা যাক, করোনার প্রকোপ জুলাইয়ের মাঝামাঝির পর থেকে কমতে শুরু করলো, তারপরও কিন্তু তখন প্রিমিয়ার লিগ শুরু সম্ভব হবে না। কারণ আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে থাকবে বৃষ্টির ভরা মৌসুম। তখন প্রায় প্রতিদিন বৃষ্টি হয় দেশে। অমন বর্ষায় সারা দিনে ৫০ ওভারের খেলা চালানোর সম্ভাবনা খুবই কম।
কাজেই করোনার সংক্রমণের পাশাপাশি এবারের ঢাকা লিগ আয়োজনে আরেক বড় বাধা হবে বৃষ্টি। সেক্ষেত্রে সব ঠিক হয়ে গেলে ডিসেম্বরে বিপিএল শুরুর আগ দিয়ে মানে অক্টোবরের মাঝামাঝি থেকে নভেম্বরের মাঝামাঝি বা তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত সিঙ্গেল লিগ করে হয়তো প্রিমিয়ার লিগ অনুষ্ঠানের সম্ভাবনা থাকবে।
আর না হয় বিপিএলের পর জানুয়ারি থেকে ফেব্রুয়ারিতে সময় বের করে নিয়ে লিগ চালাতে হবে। তবে তখন আবার করোনা ঠিক হয়ে গেলে জাতীয় দলের কার্যক্রম বেড়ে যাবে। কাজেই করোনা মুক্তির পাশাপাশি বৃষ্টির হাত থেকে মুক্ত হয়ে ঢাকার ক্লাব ক্রিকেট এই মৌসুমে আর মাঠে গড়াবে কি না, তা নিয়েই আছে রাজ্যের সংশয়-সন্দেহ।