26 C
Dhaka
এপ্রিল ১৭, ২০২৪
Bangla Online News Banglarmukh24.com
জেলার সংবাদ বরিশাল

জোয়ারের পানিতে ভাসছে বরিশালের নিম্নাঞ্চল

দেশের বিভিন্ন স্থানে অব্যাহত বৃষ্টিপাত ও বন্যার পানি বেড়ে যাওয়ায় পানির চাপ বেড়েছে কীর্তনখোলা নদীতে। এর সাথে জোয়ারের পানি যোগ হয়ে ঢুকে পড়ে নগরীতে। রোববার দুপুর নাগাদ নদীতে জোয়ার আসার সাথে সাথে ডুবে যায় নগরীর অপেক্ষাকৃত এলাকার নিম্নাঞ্চল। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েন এলাকাবাসী। পাশাপাশি তীব্র যানজট সৃষ্টি হয় ওইসব এলাকার সড়কগুলোতে।

বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের কীর্তনখোলা নদীর গেজ রিডার মো. আবু রহমান জানান, কীর্তনখোলায় পানির সীমা স্বাভাবিকের চাইতে ২০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত বেড়েছে। আর বিপদসীমার উপর রয়েছে ৬ সেন্টিমিটার। তিনি বলেন, বর্ষা মৌসুমের স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত এবং উত্তরাঞ্চলে সৃষ্ট বন্যা পরিস্থিতির কারণে পানির চাপ বেড়েছে নগরী সংলগ্ন কীর্তনখোলায়। স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে কীর্তনখোলায় পানির সীমা ২.৫৫ থাকলেও এখন তা রয়েছে ২.৬১ মিটারে। আর বরিশাল নগরীর ড্রেনেজ ব্যবস্থা কীর্তনখোলার সাথে সরাসরি যুক্ত থাকায় এর মাধ্যমে জোয়ারের পানি সহজেই ঢুকতে পারছে। তবে ২/১ দিনের মধ্যেই এ অবস্থার নিরসন হবে বলে জানান তিনি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সাগরদীর দরগাহবাড়ি, ধানগবেষণা রোড, দ: আলেকান্দার ব্যাপ্টিস্ট মিশন রোড, কেডিসি বস্তি এলাকা ও পলাশপুরের নিম্নাঞ্চল, ভাটারখালসহ বেশ কয়েকটি এলাকার রাস্তাঘাট জোয়ারের পানিতে তলিয়ে যায়। শহরের বর্ধিতাংশ হিসেবে পরিচিত নগরীর কাশীপুর, টিয়াখালী, লাকুটিয়া, রুপাতলীরও বেশ কিছু অংশ নিমজ্জিত হয় জোয়ারের পানিতে। আকস্মিক এমন ঘটনায় ভোগান্তিতে পড়েন এসব এলাকার বাসিন্দা এবং পথচারীরা। হাঁটু পানি পেরিয়েই তাদের ফিরতে হয়েছে নির্দিষ্ট গন্তব্যে। বিকেল নাগাদ পানি কমতে শুরু করলেও ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে উল্লিখিত এলাকাগুলোর রাস্তাঘাট।

অনেক রাস্তার বিটুমিন সরে গিয়ে ইট-পাথরের খোয়া বেরিয়ে পড়েছে। পাশাপাশি বর্ধিত এলাকায় চাষকৃত বিভিন্ন মৌসুমী ফসলেরও ক্ষতির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এতে পুনরায় ভোগান্তিতে পড়ার আশংকা করছেন নগরবাসী। এসব এলাকার বাসিন্দারা জানান, নগরীর পুরানো সমস্যা বর্ষা মৌসুমের এই জলাবদ্ধতা। যদিও ইতিপূর্বে বর্ষা মৌসুমে নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে ড্রেনগুলো পরিষ্কার ও সংস্কার করেছে বিসিসি। সচল করা হয়েছে ড্রেনেজ ব্যবস্থা। তবে প্রতিনিয়ত খাল এবং জলাশয় ভরাটের কারণে জোয়ারের পানি ঢুকলেও সহজে নামতে পারছেনা। দ্রুত এ অবস্থা নিরসনে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তারা।

এ বিষয়ে ১১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মজিবর রহমান বলেন, জোয়ার এবং বৃষ্টিপাতের কারণে কিছু কিছু এলাকায় পানি জমছে। তবে কার্যকর নিষ্কাশন ব্যবস্থার কারণে দীর্ঘক্ষণ জমে থাকছে না, দ্রুতই নেমে যাচ্ছে।

কাউন্সিলর মজিবর বলেন, জলবায়ু প্রকল্পের আওতাধীন খাল খনন কার্যক্রম বাবদ অর্থ বরাদ্দ করেছে বিসিসি। শীঘ্রই প্রকল্পের আওতায় কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। নগরবাসীরও পরিত্রাণ মিলবে সাময়িক জলাবদ্ধতার কবল থেকে। এদিকে আবহাওয়া অফিস সূত্র জানিয়েছে, এখন বর্ষা মৌসুম চলছে। প্রতিবছরই এ মৌসুমে নদীতে পানির চাপ বেড়ে যায়। এর উপর যোগ হয়েছে উত্তরাঞ্চলের বন্যার প্রভাব। এসব কারণে হয়ত নগরীর নিম্নাঞ্চল তলিয়ে গেছে।

সম্পর্কিত পোস্ট

পিরোজপুরে প্রাইভেটকার-মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে শিক্ষার্থী নিহত

banglarmukh official

বাকেরগঞ্জে মাদ্রাসা ছাত্রকে বলাৎকারের ঘটনা!শালিশ করেই ঘটনাটি ধামাচাপার চেষ্টা

banglarmukh official

বরিশালে অপরাধ নিয়ন্ত্রণে চালু হলো পুলিশের ‘ইন্টিগ্রেটেড কমান্ড এন্ড কন্ট্রোল সেন্টার’

banglarmukh official

৩ বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ

banglarmukh official

বিদ্যুৎপৃষ্ঠ হয়ে বৃদ্ধের মৃত্যু

banglarmukh official

ঝালকাঠি জেলা অফিসার্স এসোসিয়েশন এর পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষনা

banglarmukh official