ডেঙ্গু আতঙ্কে বরিশালের হাসপাতালগুলোতে রোগীদের হিড়িক পড়ছে। এই আতঙ্কে সুস্থরাও ছুটছেন হাসপাতালে। গত কয়েকদিনে দুই হাজারের বেশি রোগীর ডেঙ্গু পরীক্ষা করেছে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। আকস্মিক রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় ডেঙ্গু শনাক্তকরণ রসদ ফুরিয়ে গেছে।
‘এনএসওয়ান’ নামক কিটসটি শেষ হওয়ায় শুক্রবার সকাল থেকে ডেঙ্গু শনাক্তকরণ প্রাথমিক পরীক্ষা বন্ধ রাখা হয়েছে।
বরিশাল শেবাচিম সূত্র জানায়- গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন ভর্তি হওয়া ৪৬ জন নিয়ে শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত বরিশাল শেরে-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ১২০ জন রোগী। ডেঙ্গুতে এ পর্যন্ত বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে দু’জন ও গৌরনদী উপজেলায় একজনের মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে এই কিটসটি সংকট দেখিয়ে বরিশাল শহরের বেসরকারি হাসাপাতাল ও ডায়াগনস্টিকগুলো পরীক্ষা বন্ধ রেখেছে। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন রোগীরা।
অভিযোগ উঠেছে- সরকার ডেঙ্গু রোগ শনাক্তকরণ পরীক্ষার মূল্য নির্ধারণ করে দেওয়ায় বেসরকারি হাসাপাতাল ও ডায়াগনস্টিকগুলো বাড়তি অর্থ হাতিয়ে নিতে পারছে না। এই কারণে কৌশল হিসেবে কিটস সংকট দেখানো হচ্ছে।
বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালের পরিচালক ডা. এসএম বাকির হোসেন জানান, ডেঙ্গু পরীক্ষার এনএসওয়ান কিটস ও গ্লুকোজ স্যালাইন মেডিকেলে আপাতত নেই। এ কারণে এনএসওয়ান পরীক্ষা নিরীক্ষা বন্ধ রয়েছে। বিষয়টি স্বাস্থ্য অধিদফতরকে জানানো হয়েছে এবং ঢাকায় লোকও পাঠানো হয়েছে।’