ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে উপকূলীয় উপজেলা গলাচিপায়। বৃহস্পতিবার রাত ১১টা থেকে হালকা দমকা বাতাসের সঙ্গে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। আর আজ শুক্রবার সকাল থেকে সারাদিন গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি ও হালকা দমকা বাতাস বইতে শুরু করেছে। ঘূর্ণিঝড়ের বার্তা পেয়ে গভীর সমুদ্র থেকে গলাচিপার তীরে ফিরতে শুরু করেছেন জেলেরা।
ঘূর্ণিঝড় বুলবুল মোকাবিলায় গলাচিপা উপজেলায় সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে উপজেলা প্রশাসন। শুক্রবার সকাল ১০টায় উপজেরা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় দুর্যোগ প্রস্তুতি বিষয়ে জরুরি সভায় (৮ নভেম্বর) উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহ মো. রফিকুল ইসলাম এসব তথ্য জানান। এসময় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুহৃদ সালেহীন, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এসএম দেলোয়ার হোসেন, পৌর মেয়র আহসানুল হক তুহিন, অফিসার ইনচার্জ আখতার মোর্শেদসহ কৃষি বিভাগ ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
শাহ মো. রফিকুল ইসলাম জানান, এরই মধ্যে উপজেলার সবকটি সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। দুর্যোগ ঝূঁকিপূর্ণ ইউনিয়ন চরকাজল, চরবিশ্বাস, পানপট্টি, গলাচিপা সদর ইউনিয়ন এবং চরবিশ্বাস ইউনিয়নের দ্বীপচর চরবাংলা, গলাচিপা ইউনিয়নের দ্বীপ চরকারফারমায় অতিরিক্ত নজরদারির মধ্যে রাখা হয়েছে। এসব ইউনিয়ন ছাড়াও উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, বিভিন্ন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ সরকারি বেসরকারি উঁচু ভবনগুলো প্রস্তুত রাখা হয়েছে। গবাদি পশু যাতে নিরাপদে আশ্রয় কেন্দ্রে নেওয়া যায় সে ব্যাপারেও ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এছাড়া শুকনো খাবার ও মেডিক্যাল ক্যাম্পের ব্যবস্থাও প্রস্তুত রয়েছে। উপজেলা সদরে কন্ট্রোল রুম খুলে সবকিছুই তদারকি করা হচ্ছে।
এদিকে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মোবাইলে ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের খবর পেয়ে গভীর সাগরে মাছ ধরতে যাওয়া জেলেরা এলাকায় ফিরতে শুরু করেছেন। সব জেলেরা না আসলেও অধিকাংশ জেলেরা তীরে বা কাছাকাছি এসেছেন বলে জানান গলাচিপার পক্ষিয়া গ্রামের ইলিশ ট্রলারের মাঝি মিলন গাজী।
গলাচিপা উপজেলা অফিসার শাহ মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা শুক্রবার সকাল থেকেই ঘূর্ণিঝড় বুলবুল মোকাবেলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। বেড়িবাঁধের বাইরে বসবাসরত জনবসতিদের নিরাপদ আশ্রয় যাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।