বঙ্গোপসাগরে উঁকি দিচ্ছে আরও এক ঘূর্ণিঝড়। নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে আন্দামান সাগরে ঘণীভূত এই নিম্নচাপ ’বুলবুল’ নামে বয়ে যাবে বাংলা-উড়িষ্যা উপকূলের দিকে। আরব সাগরে এখনই দুটি ঘূর্ণিঝড় তাণ্ডব লীলা চালাচ্ছে। এই তিন ঘূর্ণিঝড় প্রায় একসঙ্গে আবির্ভাবে ২০১৮ সালের রেকর্ড ছুঁয়ে ফেলেছে ২০১৯। এখনো দু-মাস বাকি। ফলে ভেঙে যেতে পারে গত বছরের রেকর্ডও।
মোট ছয়টি ঘূর্ণিঝড় হয়েছে এবার। এ বছর আরব সাগর বা বঙ্গোপসাগরে মোট ছয়টি ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয়েছে। সপ্তম ঘূর্ণিঝড়টি এরই মধ্যে বঙ্গোপসাগরে অপেক্ষা করছে এবং শিগগিরই এটি ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নিয়ে ’বুলবুল’ নামে ধেয়ে আসবে বঙ্গোপসাগর দিয়ে। তাহলেই ড়ত বছরের সমান ঘূর্ণিঝড় বয়ে যাবে ২০১৯ সালেও। এর আগে আরবসাগরে এসেছে বায়ু আর হিক্কা। আর বঙ্গোপসাগরে এসেছে পেথাই, ফণী।
গত বছর মোট সাতটি ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয়েছিল। এই বছর নভেম্বর মাসের মধ্যেই আমরা ওই সংখ্যায় পৌঁছে যাব। প্রায় দু’মাস বাকি এখনো এই বছরের। আর এই দুই মাসে ঘূর্ণিঝড়ের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। এই সংখ্যাটি আরও বাড়বে বলে আশা করা যায়।
জলবায়ু পরিবর্তনে ঘূর্ণিঝড় রূপ বদল করেছে। তবে আরব সাগরে এমন কোনো ঘূর্ণিঝড় হয়নি যা সুপার সাইক্লোন হিসাবে স্থলভূমিতে তাণ্ডব লীলা চালাতে পারে। কিন্তু বঙ্গোপসাগরে এমন ইতিহাস রয়েছে। বঙ্গোপসাগরে ঝড়গুলো অত্যন্ত তীব্র হয়ে ওঠে। কিন্তু আরব সাগরে ঝড়গুলো তীব্রতা বজায় রাখতে পারে না। যদি তা হয়, সেটা হবে বিরল দৃশ্য। আরব সাগরে বেশিরভাগ ঝড়ই দুর্বল হয়ে পড়ে। তবে এখন জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ঘূর্ণিঝড়গুলি অন্য রূপ নিতে পারে বলে মনে করেন আবহাওয়াবিদরা।