জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ১০ দিনের মধ্যে দেশের পরিস্থিতি পরিবর্তন হবে। ১০ দিনের মধ্যে দেশের সব বুদ্ধিজীবী ঐক্যফ্রন্টে যোগ দেবেন। বামপন্থী, আওয়ামীপন্থী সব বুদ্ধিজীবী আসবেন। আমাদের বিজয় সুনিশ্চিত হবে। শুধু ১০ দিন অপেক্ষা করেন, দেখেন কী হয়।
শনিবার বিকালে চট্টগ্রাম নগরীর নাসিমন ভবনে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে ঐক্যফ্রন্টের সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী নিজের ছায়া দেখেও ভয় পাচ্ছেন মন্তব্য করে জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী, ভয় পাবেন না। ড. কামাল হোসেন আছেন, তিনি আপনাকে রক্ষা করবেন। কামাল হোসেন, ব্যারিস্টার মইনুল আপনাকে আইনি সহায়তা দেবেন।
তিনি বলেন, এ দেশকে অনাচার থেকে রক্ষা করতে হবে। তারা (সরকার) ঘোষণা দিয়েছিল চট্টগ্রাম হবে বাণিজ্যিক রাজধানী। তা যদি হয় তবে এনবিআরে (জাতীয় রাজস্ব বোর্ড) কেন দেশের ৭০ শতাংশ রাজস্ব যায় চট্টগ্রাম থেকে। তাহলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ঢাকায় কেন? সরকার এখন নিজের ছায়া দেখলে ভয় পায়।
এ সময় তিনি প্রধানমন্ত্রীর কথা ও কাজে মিল নেই অভিযোগ করে ভবিষ্যতে ক্ষমতায় এলে বিএনপি নেতাদের আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানান জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের এ নেতা।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট চট্টগ্রামের অন্যতম সমন্বয়ক নগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাৎ হেসেনের সভাপতিত্বে সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামী আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ড. আব্দুল মঈন খান, আবদুল্লাহ আল নোমানসহ বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা।
এর আগে দুপুরে সমাবেশ শুরু হলেও সকাল থেকেই সমাবেশস্থল নুর আহমেদ সড়কে আসতে থাকেন বিএনপি নেতাকর্মীরা।
এদিকে সমাবেশকে ঘিরে নগরীতে কড়া নিরাপত্তাব্যবস্থা নেয়া হয়। ভোর থেকে পুলিশের একাধিক টিম নুর আহমেদ সড়ক, কাজীর দেউড়ি এলাকায় অবস্থান করছে। সমাবেশের চারপাশে বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
প্রসঙ্গত, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবি আদায়ে নবগঠিত জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের চট্টগ্রামে এটি দ্বিতীয় সমাবেশ। এর আগে ২৪ অক্টোবর এই জোট সিলেটে সমাবেশ করে।