বানারীপাড়া বন্দর বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে বেশ কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। রোববার সকাল পৌনে ৮ টার দিকে থানার সন্মূখে বন্দর বাজারের শহিদুল ইসলামের ‘হুজুর মোবাইল সার্ভিসিং’ থেকে অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত হয়ে তার পাশের নিজের অপর একটি মোবাইল সার্ভিসের দোকান,পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আ.সালের লেপ তোষক ও জাহিদুল ইসলামের মোবাইল সার্ভিসের দোকানে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে বানারীপাড়া ও স্বরূপকাঠি ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা এসে প্রায় ৩০ মিনিট চেষ্টার পরে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
এরপূর্বেই ওই চার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুড়ে ছাই হয়ে যায়।এছাড়া আ. সালামের লেপতোষকের দোকানে রাখা ফুটপাতের দোকানী সেলিম হোসেনের গার্মেন্টের মালামাল পুড়ে যায়। বিদ্যুতের শর্টসার্কিট থেকে সূত্রপাত হওয়া অগ্নিকান্ডে প্রায় অর্ধকোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে। অগ্নিকান্ডের পর থেকে তা নেভাতে থানার ওসি শিশির কুমার পাল ভূমিকা রাখেন।
ব্যবসায়ীদের অভিযোগ খবর দেওয়ার প্রায় ৪০ মিনিট পরে বানারীপাড়ার ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ঘটনাস্থলে আসে। তারা আসার পূর্বে স্বরূপকাঠি উপজেলার ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রনে কাজ শুরু করে। নিজ উপজেলার ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের বিলম্বে আসায় ব্যবসায়ীদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এদিকে অগ্নিকান্ডের খবর জানতে পেরে বরিশাল থেকে ঢাকায় বিমানযোগে যাওয়া বাতিল করে বানারীপাড়ায় ছুঁটে আসেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মো. শাহে আলম। এসময় তিনি ক্ষতিগ্রস্থদের পুর্নবাসনের সার্বিক সহায়তার আশ্বাস দেন।
বানারীপাড়া উপজেলা বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদের সিনিয়র সহ-সভাপতি কৃষিবিদ ডা. খোরশেদ আলম সেলিম,পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি সুব্রত লাল কুন্ডু, ওসি (তদন্ত) জাফর আহম্মেদ, মুক্তিযোদ্ধা শ্যামল চক্রবর্তী,বানারীপাড়া প্রেসক্লাব সভাপতি রাহাদ সুমন,সাধারণ সম্পাদক মো. সুজন মোল্লা,সাংগঠনিক সম্পাদক শফিক শাহিন, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক মু.মুন্তাকিম লস্কর কায়েস প্রমুখ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
