ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার জগদল সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী-বিএসএফের গুলিতে নিহত বাংলাদেশি মো. বাবুর লাশ ফেরত দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে জগদল সীমান্ত দিয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবির কাছে লাশ হস্তান্তর করে বিএসএফ।
এরপর রাত সাড়ে ৯টার দিকে বাবুর মরদেহ তার পরিবারের কাছে রানীশংকৈল থানা পুলিশ হস্তান্তর করে বলে জানিয়েছেন অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবদুল মান্নান।
এর আগে দুপুরে বিজিবি-বিএসএফের মধ্যে ব্যাটালিয়ন পর্যায়ে পতাকা বৈঠক হয়। জগদল সীমান্ত এলাকার জিরো পয়েন্টে এ বৈঠকে ঠাকুরগাঁও ৫০ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল তুহিন মো. মাসুদ বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন। ভারতের পক্ষে ছিলেন ১৭১ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক রাকেশ সিংহ।
লে. কর্নেল তুহিন মো. মাসুদ বলেন, বৈঠকে আমরা সীমান্ত হত্যা বন্ধের ওপর গুরুত্ব দিয়েছি। অবৈধভাবে কেউ প্রবেশ করলে তাদেরকে ভারতীয় আইনের আওতায় আনার জন্য বিএসএফকে বলা হয়েছে।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, হরিপুর উপজেলার গেদুরা ইউপির মরাধার গ্রামের একরামুল হকের ছেলে মো. বাবু (২১) প্রায় ১০/১২ দিন আগে ভারতের পানিপথ এলাকার নারায়ণ চন্দ্রের ইটভাটায় শ্রমিকের কাজ করতে যান।
সোমবার বিকেলে বাংলাদেশের জগদল সীমান্তের ৩৭৩/২-এস পিলার এলাকা দিয়ে বাংলাদেশে ঢুকছিল। এসময় ভারতের শ্রীপুর ১৭১ বিএসএফের শ্রীপুর ক্যাম্পের বিএসএফ তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে । এতে ঘটনাস্থলে তিনি নিহত হন। তার মরদেহ সীমান্ত কাঁটাতারের বেড়ায় ঝুলছিল। পরে তার মরদেহ ভারতে নিয়ে যায় বিএসএফ।
এর আগে ১৮ জানুয়ারি জেলার রাণীশংকৈল উপজেলার ধর্মগড় সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে রাণীশংকৈল উপজেলার শাহানাবাদ গ্রামের বাদশা মিয়ার ছেলে জাহাঙ্গীর আলম রাজু (২১) এবং ২২ জানুয়ারি হরিপুর উপজেলার মিনাপুর সীমান্তে হরিপুর উপজেলার ডাঙ্গীপাড়া ইউনিয়নের তালডাঙ্গী গ্রামের আবদুল তোয়াফের ছেলে জেনারেল (১৮) নিহত হন।
এ নিয়ে গত ১১ দিনে সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে ৩ বাংলাদেশি নিহত হন।