অনলাইন ডেস্ক:
পটুয়াখালীর তিন উপজেলা থেকে নারীসহ তিন জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে দুই জন আত্মহত্যা করেছেন এবং এক শিশুকে হত্যা করা হয়েছে বলে স্থানীয়ভাবে জানা গেছে।
জানা গেছে,সোমবার (৩১ ডিসেম্বর) রাতে বাউফল ইউনিয়নের অলিপুরা গ্রামের নুরুল হকের মেয়ে সুরাইয়া আক্তারকে (৯) ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করেছে পুলিশ। বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক কলহের জের ধরে এ ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। এদিকে পটুয়াখালী শহরের বহালগাছিয়া গাজিবাড়িতে সাথী আকতার নামে এক গৃহবধূর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। খোঁজ-খবর জানা গেছে- সোমবার স্বামীর সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়। পরে রাতে নতুন পাকা ভবনে তার ঝুলন্ত মরদেহ দেখে থানায় খবর দেয়া হয়। এ ঘটনার পর থেকে তার স্বামী কাওছার গাজী পলাতক রয়েছেন।
পটুয়াখালী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ঘটনাটি আত্মহত্যা হতে পারে বলে আমরা জানতে পেরেছি। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। অপরদিকে দুমকি উপজেলার লেবুখালী ইউনিয়নের কার্তিকপাশা গ্রামের ইদ্রিস সিকাদারের ছেলে সোহেল (৩২) বিষপান করে আত্মহত্যা করেছেন। দুমকি থানা পুলিশ জানিয়েছে,খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। পারিবারিক কারণে সোহেল আত্মহত্যা করতে পারেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।