অনলাইন ডেস্ক:
বরিশালের মুলাদী উপজেলায় ৭ম শ্রেণির স্কুলছাত্রী তামান্না আক্তারকে ধর্ষণ ও হত্যার প্রায় দুই মাস পেরিয়ে গেলেও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। ফলে বিচার নিয়ে শঙ্কিত হয়ে পড়েছে ওই ছাত্রীর পরিবার। হতদরিদ্র পরিবার হওয়ায় আদৌ বিচার পাবে কিনা এ নিয়ে তাদের মধ্যে সন্দেহ দেখা দিয়েছে।
গত ৭ নভেম্বর বিকেলে উপজেলার প্যাদারহাট ওয়াহেদিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির ছাত্রী তামান্না আক্তারকে ঘরে একা পেয়ে দুর্বৃত্তরা ধর্ষণের পর খুন করা হয়েছে বলে দাবি সহপাঠী ও স্বজনদের। ধর্ষণ ও হত্যার প্রতিবাদে এবং দোষীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মুলাদী-মীরগঞ্জ সড়কে মানববন্ধন করলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেয়া হয়েছিল।
কিন্তু ঘটনার প্রায় ২ মাস অতিবাহিত হতে চললেও এখন পর্যন্ত পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে না পারায় কিংবা কোনো রহস্য উদ্ঘাটন করতে না পারায়,পরিবারের সদস্যদের মধ্যে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। নিহত স্কুলছাত্রীর হতদরিদ্র বাবা মঞ্জু চৌকিদার জানান, দুই মাসেও হত্যাকারীদের কেউ গ্রেফতার না হওয়ায় আদৌ বিচার পাবো কিনা এ বিষয়ে সন্দেহ দেখা দিয়েছে।
তিনি বিভিন্ন জনের কাছে ধর্ণা দিয়েও হত্যাকারীদের গ্রেফতারের বিষয়ে কোনো অগ্রগতি করাতে পারেননি। এ ব্যাপারে মুলাদী থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) সাইদ আহমেদ তালুকদার জানান, ময়নাতদন্তের রির্পোট থানায় না আসায় কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাচ্ছে না। রির্পোট হাতে পেলেই দোষীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ২০১৮ সালের ৭ নভেম্বর রাত ৯টার দিকে মুলাদী থানা পুলিশ উপজেলার কাজিরচর ইউনিয়নের ডিক্রিরচর গ্রামের মঞ্জু চৌকিদারের বাড়ি থেকে তার মেয়ে তামান্না আক্তারের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করে।