কর্মক্ষেত্রে ভুমিকা রেখে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অন্তত ৫ শতাধিক সদস্য সরকারের তরফ থেকে বিশেষ মর্যাদা পেতে যাচ্ছেন। পুলিশ বাহিনীর কেন্দ্রীয় দপ্তর তাদের ৬ টি ক্যাটাগারিতে কাজের স্বীকৃতিস্বরুপ পুরস্কার দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে। এই তালিকায় উঠে এসেছে বরিশাল মেট্রোপলিটন ট্রাফিক পুলিশের ডিসি খাইরুল আলমসহ তিন কর্মকর্তার নাম। বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী আগামী ৫ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের পুরস্কারস্বরুপ ‘আইজিপি’স এক্সেমপ্ল্যারি গুড সার্ভিসেস ব্যাজ’ পরিয়ে দেবেন।
খাইরুল আলম ট্রাফিক পুলিশের ডিসি হিসেবে যোগদানের পরে কর্মদক্ষতার মাধ্যমে পুরো বিভাগকে স্বচ্ছতার একটি প্ল্যাটফরমে নিয়ে আসেন। বিশেষ করে কীর্তনখোলার তীর জনপদ বরিশাল শহরের সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে বেশ যুগপযোগী ভুমিকা রাখেন। আপসহীন এই কর্মকর্তা দুর্ঘটনা রোধে যানবাহন আরোহীদের সচেতনার লক্ষে বেশ কয়েকটি কার্যকরি পদক্ষেপ রেখেও প্রশংসিত হয়েছেন। তার দিক-নির্দেশনায় মাঠপর্যায়ে ট্রাফিক পুলিশ মোটরসাইকেল আরোহীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে হেলমেট ব্যবহারে কঠোর মনভাব দেখান। ইতিমধ্যে এই নির্দেশনা অনেকাংশে বাস্তবায়নও হয়েছে। ট্রাফিক পুলিশের সম্পর্কে মানুষের অনেক নেতিবাচক ভাবনা থাকলে তাও অকেটা দুর করতে সক্ষম হয়েছেন ডিসি খাইরুল আলম।
একটি সূত্র জানায়- সৎ-চিন্তা চেতনার অধিকারী ডিসি খাইরুল আলম তৎসময়ের কর্মস্থল বরিশাল র্যাবেও বেশ ভুমিকা রেখে প্রসংশিত হয়েছিলেন। ২৪ ব্যাচের এই কর্মকর্তা র্যাবের সহকারি পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরে তিনি পদন্নোতি পেয়ে দিনাজপুরের সার্কেল এসসি সেখান থেকে সিলেট আর আর এফ পুলিশে বদলি হন। এই পুলিশ কর্মকর্তা পরবর্তীতে বরিশাল আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়নে সহ-অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন শেষে পদন্নোতি পেয়ে মৌলভীবাজার জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হন। বরিশাল মেট্রোপলিটনে যোগদানের পূর্বে তিনি নাটোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
প্রতিটি কর্মস্থলেই খাইরুল আলম বেশ সাহসীকতার সাথে দায়িত্ব পালন করেন এবং স্বচ্ছতা বজায় রাখেন। তবে এই পুলিশ কর্মকর্তা বেশিমাত্রায় আলোচিত হয়েছেন বরিশালের সড়কে যানবাহনে শৃঙ্খলা ফেরানোর প্রশ্নে। সড়কে নেমে তিনিও অপরাপর সদস্যদের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করে উর্ধ্বতনদের দৃষ্টিও কাড়েন। মূলত এই কাজের স্বকৃতিস্বরুপ তিনি আজ পুরস্কার পেতে যাচ্ছেন বলে এই কথা পুলিশের ভেতর থেকেই শোনা যাচ্ছে।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের একটি সূত্র জানায়- ডিসি খাইরুল আলম যে পুরস্কৃত হতে যাচ্ছেন এটা অনেকেরই অনুমান ছিল। কারণ সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ ভুমিকা রেখে তিনি শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তাদের আস্থা অর্জনেও সফল হয়েছেন। এছাড়া প্রসংশাও কুড়িয়েছেন বেশ।
এদিকে ‘আইজিপি’স এক্সেমপ্ল্যারি গুড সার্ভিসেস ব্যাজ’ পেতে যাওয়ার খবরে ফুরফুরে মেজাজে রয়েছেন ডিসি খাইরুল আলম।
এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বরিশালটাইমস’র এ প্রতিবেদককে বলেন- সংবাদটা আসলেই খুশির। আগামী ৫ জানুয়ারি পুরস্কার গ্রহণ করতে তিনি রাজধানীতে থাকবেন। এবং এ জন্য সকল প্রস্তুতিও শেষ করেছেন।’