অনলাইন ডেস্ক:
বহুল আলোচিত উবারের বাইকার শাহনাজ আক্তার পুতুলের চুরি যাওয়া স্কুটি নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৫ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৩টার দিকে ঢাকা থেকে ছিনতাই করা স্কুটিটি উদ্ধার করা হয়। এ সময় জুবায়দুল ইসলাম জনি নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গতকাল রাতে রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ থেকে শাহনাজের স্কুটিটি ছিনতাই হয়। তারপরই তিনি শেরেবাংলা নগর থানায় জনিকে আসামি করে মামলা করেন। শাহনাজ আক্তার পুতুল প্রতিজ্ঞা করেছিলেন স্কুটিটি উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত তিনি হেলমেট খুলবেন না। ১২ ঘণ্টার মধ্যে শেরে বাংলানগর থানা পুলিশ বাইকটি উদ্ধার করেছে।
শাহনাজ একজন নারী হয়েও জীবন ও জীবিকার তাগিদে ভাড়ায় স্কুটি চালাতেন। মিরপুরের মেয়ে শাহনাজের সংসারে দুটি মেয়ে আছে। এই স্কুটি চালিয়েই সংসারের চাকা চালান তিনি। স্কুটিটি তিনি কিনেছিলেন ঋণ করে।
গতকাল রাতে শাহনাজের স্কুটি চুরি হওয়ার ঘটনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ভাইরাল হয়ে যায়। অনেকেই এই নারীর পাশে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন। পাশাপাশি বাইকটি উদ্ধারে তৎপর হয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
যেভাবে উদ্ধার স্কুটি
চুরির ঘটনায় মামলা দায়েরের পর প্রথমে ভুক্তভোগী শাহনাজ কর্তৃক জনির উল্লেখিত মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করা হয়। সেটি বন্ধ পাওয়া গেলে কললিস্টের অন্য মোবাইল নম্বরের মাধ্যমে লোকেশন জানার চেষ্টা করা হয়। প্রাথমিকভাবে জনির সর্বশেষ লোকেশন দেখায় নারায়ণগঞ্জ। এরপর সেখানে আমাদের টিম চলে যায়। এর মধ্যে সর্বশেষ লোকেশন চিহ্নিত করে রাত ৩টার দিকে জনিকে নারায়ণগঞ্জের রঘুনাথপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে একই এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয় ভুক্তভোগী শাহনাজের স্কুটি।
শাহনাজের করা মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, কিছুদিন আগে জনির সঙ্গে শাহনাজের পরিচয় হয়। জনি নিজেকে রাইড শেয়ারিং প্রতিষ্ঠান পাঠাওয়ের চালক বলে দাবি করেন। জনি একপর্যায়ে শাহনাজকে একটি স্থায়ী চাকরির প্রলোভন দেয়। শাহনাজ তাতে বিশ্বাস করেন।
মামলায় শাহনাজ বলেন, গতকাল দুপুরে জনি তাঁকে ফার্মগেটের খামারবাড়ী এলাকায় আসতে বলেন। তারপর তাঁরা রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে পুনরায় মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে আসেন। চা পান করার একপর্যায়ে জনি স্কুটিটি ছিনতাই করে নিয়ে যান বলে এজাহারে উল্লেখ করেছেন শাহনাজ।