রাঙ্গামাটির কাপ্তাই উপজেলার রাইখালী পূর্বকোদালা বড়খোলা পাড়ায় তৃতীয় শ্রেণির এক শিশু ছাত্রীকে ধর্ষণের সময় চিৎকার করলে শ্বাসরোধে হত্যা করে শিক্ষক। বাচিংমং মারমা (৪০) নামের ওই প্রাইভেট শিক্ষককে আটক করেছে চন্দ্রঘোনা পুলিশ। রবিবার সকালে এলাকাবাসীর সহায়তায় বাচিংমং মারমাকে আটক পুলিশের কাছে সোপর্দ করা করা হয়।
চন্দ্রঘোনা থানার অফিসার ইনচার্জ আশরাফ উদ্দিন জানান, বাচিংমং মারমা তৃতীয় শ্রেণির ৪-৫ জন শিক্ষার্থীকে প্রাইভেট পড়ায়। প্রতিদিনের মতো শনিবারও শিক্ষার্থীরা প্রাইভেট পড়তে যায়। প্রাইভেট শেষে শিক্ষার্থীদের স্কুলে যাওয়ার কথা।
কিন্তু শনিবার সকাল ৭টা থেকে ৯টা পর্যন্ত সব শিক্ষার্থীকে প্রাইভেট পড়িয়ে ছুটি দিলেও তৃতীয় শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে অসৎ উদ্দেশ্যে রেখে দেয় বাচিংমং মারমা। সবাই চলে যাওয়ার পর ওই ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা করে বাচিংমং। এ সময় শিশুটি চিৎকার দিয়ে কান্না শুরু করলে তাকে হত্যা করে বাচিংমং মারমা।
সারাদিন মেয়েটির খবর না পেয়ে খোঁজা-খুঁজি করতে থাকে স্বজনরা। এলাকার লোকজন রাতে এলাকায় পাহাড়া বসায়। এক পর্যায়ে গভীর রাতে প্রাইভেট শিক্ষক নিখোঁজ ছাত্রীকে বস্তায় ভরে বাসার পাশে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করে। ওই সময় লোকজন তাকে হাতে নাতে আটক করে পুলিশে দেন।
তিনি জানান, বাচিং মং মারমা নানা বাড়ি বসবাস করে। বাসায় সে ছাড়া আর কেউ থাকতো না। একই এলাকার ছোট, ছোট শিশুদের গৃহ শিক্ষক হিসাবে সে প্রাইভেট পড়াতো।
চন্দ্রঘোনা থানার অফিসার ইনচার্জ আশরাফ উদ্দিন বলেন, ‘নিহত ছাত্রীকে অনৈতিক কাজ করতে চেয়ে ছিল প্রাইভেট শিক্ষক। ছাত্রী চিৎকার করলে শ্বাসরোধ করে ছাত্রীকে হত্যা করে। ঘাতক তার ঘরের সিলিং এর উপর রেখে দেয়। পরে রাতে বস্তাভর্তি করে ফেলে দেওয়ার সময় এলাকার লোকজন তাকে আটক করে পুলিশে খবর দেন।ঘাতক শিশু হত্যার কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে বলে জানান তিনি।
লাশ ময়নাতদন্তের জন্য রাঙ্গামাটি পাঠানো হয়েছে। ঘাতক চন্দ্রঘোনা থানা আটক আছে এবং মামলা দায়ের করা হয়েছে।