অনলাইন ডেস্ক:
বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলায় বিভিন্ন এলাকায় ঘূর্ণিঝড়ে শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। এছাড়া অসংখ্য গাছপালা ভেঙে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) ভোরের দিকে হঠাৎ এ ঘূর্ণিঝড় শুরু হয়।
ঝড়ো হাওয়ায় উপজেলার কালমেঘা ইউনিয়নের পূর্ব কালমেঘা, পশ্চিম কালমেঘা, ঘুটাবাছা, ছোট পাথরঘাটা; সদর পাথরঘাটা ইউনিয়নের চরলাঠিমারা, জিনতলা, হাড়িটানা, রুহিতা, টেংরা, কোড়ালিয়া; কাঠালতলী ইউনিয়নের পশ্চিম কাঠালতলী; রায়হানপুর ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রামে শতাধিক বসতঘর বিধ্বস্ত হয়েছে।
এর মধ্যে বেশ কয়েকটি ঘর, ঘরের চালা উড়িয়ে পার্শ্ববর্তী পুকুর ও মাঠে নিয়ে যায়। অনেক স্থানে গাছ পড়ে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে গেছে। বেশ কয়েকটি স্থানে বিদ্যুতের খুঁটি পড়ে যাওয়ারও খবর পাওয়া গেছে। তবে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
ঘূর্ণিঝড়ের পর সকালের দিকে পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হুমায়ুন কবির ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন।
কালমেঘা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি, সংরক্ষিত) সদস্য নাজমা বেগম সাংবাদিকদের বলেন, এ ইউনিয়নের অন্তত অর্ধশত বসতঘর ভেঙে গেছে। এছাড়া গাছপালা ভেঙে অনেক ক্ষতিসহ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
এছাড়া ঝড়ে সদর পাথরঘাটা ইউনিয়নের হাড়িটানা গ্রামের প্রায় ২৫ থেকে ৩০টি বসতঘর ভেঙে গেছে। জিনতলা গ্রামের বিষখালী নদী সংলগ্ন বেড়িবাঁধের ভেতরে অনেক ঘরবাড়ি ভেঙে গেছে।
এদিকে বলেশ্বর নদে মাছ ধরা ট্রলার ডুবির ঘটনায় জামাল হোসেন ও খাইরুল ইসলামকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের বরিশাল শেরই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন মেডিকেল অফিসার আনোয়ার উল্লাহ।
পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হুমায়ুন কবির সাংবাদিকদের বলেন, সকালের দিকে আমরা বেশ কয়েকটি বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছি। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখন পর্যন্ত নিরূপণ করা যায়নি।