26 C
Dhaka
জুলাই ৮, ২০২৫
Bangla Online News Banglarmukh24.com
অপরাধ নারী ও শিশু প্রশাসন

পিরোজপুরে গুলিবিদ্ধ সেই ধর্ষকদের পরিবারের হুমকিতে বাড়িছাড়া নির্যাতিতরা

পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়ায় মাদ্রাসাছাত্রী ধর্ষণ মামলার দুই আসামির গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধারের পর থেকে নির্যাতিতার পরিবারের সদস্যরা পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। পরিবারের অভিযোগ, হত্যা (দুই আসামি) মামলা দুটিতে তাদের আসামি করা হয়েছে। এছাড়া তাদের খুঁজে বেড়াচ্ছে আসামিদের স্বজনরা। প্রাণনাশের হুমকি দেয়ায় নিরাপত্তার কারণে তারা এলাকা ছেড়েছেন।

২৬ জানুয়ারি ঝালকাঠির কাঁঠালিয়ার বীণাপানি গ্রাম থেকে ধর্ষণ মামলা আসামি সজল জোমাদ্দারের (৩০) লাশ এবং ১ ফেব্রুয়ারি রাজাপুরের আঙ্গারিয়া গ্রামের একটি পরিত্যক্ত ইটভাটার পাশ থেকে রাকিব মোল্লার (২০) লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। লাশ দুটির গলায় ‘আমি (অমুকের) ধর্ষক লেখা কাগজ ঝোলানো ছিল। ইহাই ধর্ষণের পরিণতি। ধর্ষকেরা সাবধান। হারকিউলিস।

এ দুটি ঘটনায় কাঁঠালিয়া ও রাজাপুর থানায় মামলা করেছে সজল ও রাকিবের পরিবার। সজল হত্যার ঘটনায় কাঁঠালিয়া থানায় রাকিবের বাবা, নির্যাতিত মেয়েটির বাবা ও ফুফা এবং তার মাদ্রাসার এক শিক্ষককে আসামি করা হয়েছে। তবে সজল হত্যা মামলার বাদী মো. শাহ আলম জোমাদ্দার ৫ ফেব্রুয়ারি প্রধান আসামি রাকিবের বাবা কালাম মোল্লাসহ চার আসামির বিরুদ্ধে কোনো সন্দেহ বা অভিযোগ নেই বলে এফিডেভিট করেছেন। পিরোজপুর নোটারি পাবলিকের কার্যালয়ে তিনি এফিডেভিট করেন।

দুই মামলার আসামি নদমূলা দাখিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক মিজানুর রহমান মিঠু জানান, নির্যাতিত মেয়েটির বাবার সঙ্গে বিষয়টি মিটিয়ে ফেলতে তাকে মধ্যস্থতা করার জন্য আসামিদের পক্ষ থেকে একাধিকবার অনুরোধ করা হয়। এ অনুরোধ না রাখায় তাকে দুটি মামলায় আসামি করা হয়। ধর্ষণের মতো একটি গুরুতর অপরাধ কিভাবে মেটানো যায়- এ সম্পর্কে তার জানা নেই।

নিহত রাকিবের বাবা কালাম মোল্লা বলেন, রাকিব ঢাকার আশা ইউনিভার্সিটিতে এলএলবি পঞ্চম সেমিস্টারের ছাত্র। নির্বাচনের আগে সে গ্রামের বাড়িতে আসে। ধর্ষণের অভিযোগ ওঠার পর রাকিব ঢাকার সাভারের নবীনগর এলাকায় এক বন্ধুর কাছে আশ্রয় নেয়। ২৫ জানুয়ারি নবীনগরের গণস্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার একটি চায়ের দোকান থেকে রাকিব এবং তার বন্ধুকে একটি কালো ও একটি সাদা গাড়ি এসে তুলে নিয়ে যায়। পরে রাকিবের বন্ধুকে ছেড়ে দেয়া হয়। এরপর থেকে রাকিব নিখোঁজ ছিল। এ ঘটনার পরদিন আশুলিয়া থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে যায় রাকিবের পরিবার। কিন্তু পুলিশ জিডি নেয়নি।

তিনি আরও বলেন, ধর্ষণ মামলার কোনো তদন্ত হয়নি, মেডিকেল রিপোর্টও আসেনি। এরই মধ্যে আমার ছেলেকে (আসামি) হত্যা করা হয়েছে। এভাবে বিচারবহির্ভূত হত্যা করা অন্যায়। আমি ছেলে হত্যার বিচার চাই।

সজলের বাবা শাহ আলম জোমাদ্দার বলেন, সজল ঢাকায় বাংলালিংক কোম্পানিতে চাকরি করে। আয়কর বিভাগের একটি পদে লিখিত পরীক্ষায় অংশ নিতে সে শুক্রবার বরিশালে যায়। পরীক্ষা শেষে সে গ্রামের বাড়িতে আসে। তার বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করা হয়। এরপর কাঁঠালিয়ায় তার লাশ পাওয়া যায়।

এ ঘটনায় সহকারী পুলিশ সুপার (রাজাপুর-কাঁঠালিয়া সার্কেল) মো. মোজাম্মেল হোসেন রেজা বলেন, বিষয়টি তদন্তাধীন। যারা এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত তাদের খুঁজে বের করা হবে।

১৪ জানুয়ারি বেলা ১১টার দিকে ভাণ্ডারিয়ার নদমুলা গ্রামের নানা বাড়িতে যাওয়ার সময় অষ্টম শ্রেণীর এক মাদ্রাসাছাত্রীকে একটি পানের বরজে নিয়ে সজল ও রাকিব পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এ সময় ধর্ষণের ভিডিও মোবাইল ফোনে ধারণ করা হয়। এজাহারে এমন বর্ণনা দিয়ে ঘটনার একদিন পর তাদের আসামি করে মামলা করেন নির্যাতিতার বাবা।

সম্পর্কিত পোস্ট

বগুড়ায় স্কুলছাত্রকে শ্বাসরোধ করে হত্যা

banglarmukh official

রমজানে নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা থাকবে বরিশাল

banglarmukh official

ডেভিল হান্টে গ্রেফতার আরও ৬৭৮

banglarmukh official

দেশে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় সেনা সদস্যদের যে বার্তা দিলেন সেনাপ্রধান

banglarmukh official

অপরাধ নিয়ন্ত্রণে পুলিশের কাছে ম্যাজিক নাই: আইজিপি

banglarmukh official

১২ পুলিশ সুপারকে বদলি

banglarmukh official