অনলাইন ডেস্ক:
বরিশাল শের-ই-বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয়(শেবাচিম) হাসপাতালের জেনারেল অপারেশন থিয়েটারের একশ্রেণির অসাধু কর্মচারীর যোগসাজশে ওষুধ পাচার হয়ে যাচ্ছে বেসরকারি ফার্মেসিতে। শেবাচিম হাসপাতাল ঘিরে গড়ে ওঠা ফার্মেসিগুলোই এসব ওষুধের ক্রেতা।
অভিযোগ আছে হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার ফেরদৌস, পরিচালকের সার্বক্ষণিক সফর সঙ্গি পরিচয়দানকারী তাজুল ইসলাম, আনিচুর রহমান তার স্ত্রী আকলি বেগম ও সেবিকা(ইএনটি) তোফা রাখি ওষুধ পাচারের মূল কাজটির সঙ্গে জড়িত।
হার্টসল, লাইবট, লাইবট-১, ভারগন-ডিএ, ডিএনএস প্যাথেডিন, মেটরোনিজেল, সিপ্রোসিন, ওমেপ্রাজল মুল্যবান ওষুধ ও হ্যান্ডওয়াশ, ব্যান্ডেজ, গজ, তুলা, অপারেশনের সুই, সিরিঞ্জ ইত্যাদি পাচার হচ্ছে এসব ফার্মেসীতে।
শেবাচিম হাসপাতালের সামনের তুহিন মেডিকেল হল,ঔষধ বিতান, ঝালকাঠী ফার্মেসীসহ একাধিক ফার্মেসীতে এসব সরকারি ও বেসরকারি ওষুধ কম দামে কিনে বেশি দামে বিক্রি করা হয়।
তবে হাসপাতালের ওয়ার্ড মাষ্টার ফেরদৌস এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি তো দূরের কথা যেসব কর্মচারীর বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ তাদের একজনও আমার পরিচিত নয়।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীদের অভিযোগ, সরকার গরিব রোগীর জন্য ওষুধগুলো বরাদ্দ দিচ্ছে। তাছাড়া বাহিরের ফার্মেসী থেকে কিনে আনা ওষুধগুলো ওটি শেষে ফেরত না দিয়ে হাসপাতালের ভিতরের একটি অসাধু চক্র তা বিক্রি করছে। ভিতরের মানুষ না থাকলে এ কাজ বাইরে থেকে করা অসম্ভব বলে মনে করছেন হাসপাতাল সংশ্লিষ্টরা।
হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ বাকির হোসেন বলেন,“আমি শুনেছি,বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার গভীর রাতে হাসপাতাল থেকে এসব ওষুধ পাচার হয়। তবে সংবাদ কর্মীদের সহায়তায় এসব ওষুধ চোর চক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবেন বলেও জানিয়েছেন তনি।