নিউজ ডেস্ক:
বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুর্ঘটনায় আহত ও বিষাক্তদ্রব্য সেবনে অসুস্থ এক রোগীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।
এরমধ্যে ভোলায় সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে সাইফুল ইসলাম জুয়েল (৪০) নামে এক ভেটেরিনারি চিকিৎসক এর মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া বিষপানে আত্মহত্যা করেছে বরগুনার নিশাত জাহান (২০) নামের এক কলেজ ছাত্রী।
রোববার (০৩ মার্চ) মধ্যরাতে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়। এদের মধ্যে মৃত ঘোষনার পর পরই বরগুনার কলেজ ছাত্রীর মৃতদেহ নিয়ে পালিয়ে গেছে তার স্বজনরা।
নিহতদের মধ্যে নিহত ভেটেরিনারি চিকিৎসক সাইফুল ইসলাম জুয়েল বরিশাল নগরীর ২৬নং ওয়ার্ডস্থ হরিনাফুলিয়া এলাকার বাসিন্দা সেকান্দার আলী হাওলাদারের ছেলে। তিনি ভোলা জেলা সদরের পশু হাসপাতালের ভেটেরিনারি চিকিৎসক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
নিহতের চাচাত ভাই বিসিসি’র ২৬নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হুমায়ুন কবির জানান, রোববার বেলা ১২টার দিকে নিজ বাসা থেকে মোটরসাইকেল যোগে কর্মস্থলে যাবার পথে ভোলার বাংলাবার এলাকায় বিপরিত মুখি একটি ট্রাকের সাথে সংঘর্ষ হয়।
এতে তিনি গুরুতর আহত হলে প্রথমে ভোলা ও পরে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সাড়ে ১০টায় তার মৃত্যু হয়।
অপরদিকে আত্মহননকারী কলেজ ছাত্রী নিশাত জাহান (২০) বরগুনা সদর উপজেলার কেওড়াবুনিয়া গ্রামের বাদশা মিয়ার মেয়ে এবং বরগুনা কলেজের অনার্স এর ইংরেজি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী।
স্বজনরা দাবী করেছেন, পারিবারিক কলোহের জের ধরে রোববার সকাল সোয়া ৯টার দিকে নিজ বাড়িতে বিষ পান করে। মুমূর্ষ অবস্থায় তাকে প্রথমে বরগুনা ও পরে রাতে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে নিয়ে আসলে জরুরী বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষনা করেন।
এদিকে নিশাত পারিবারিক কারনে আত্মহত্যা করেছে বলে স্বজনরা দাবী করলেও এটি রহস্যজনক বলে দাবী করেছেন হাসপাতালের সংশ্লিষ্টরা।কেননা ছাত্রী অবিবাহিত হলেও শেবাচিম হাসপাতালের রেজিষ্ট্রার খাতায় সে বিবাহিত এবং স্বামীর নাম শাহজাহান বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
তাছাড়া কলেজ ছাত্রীকে মৃত ঘোষনার পর পরই আইনী জটিলতা এড়াতে শেবাচিম হাসপাতাল থেকে নিশাত এর মৃতদেহ নিয়ে পালিয়ে যায় স্বজনরা। তবে তার মৃতদেহ উদ্ধারের জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ থানা পুলিশের সহযোগিতা চেয়েছে বলে জানিয়েছেন শেবাচিমের ওয়ার্ড মাস্টার।