কিছু মানুষ কখনই বাংলাদেশের স্বাধীনতা চাননি। বরং ওই যুদ্ধাপরাধীরা পাক-হানাদার বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশে গ্রামের পর গ্রাম পুড়িয়ে দিয়েছে। অসংখ্য মুক্তিকামী মানুষকে হত্যা করেছে। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ আন্দোলনের মাধ্যমে বারবার বিজয় ছিনিয়ে এনেছে। ১৯৭১ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে দেশ স্বাধীন করেছে। আর এই স্বাধীনতা অর্জন করতে ৭ মার্চের ভাষণের মাধ্যমে করণীয় বলে দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে আয়োজিত জনসভায় আজ বুধবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সভাপতির বক্তব্যে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।
এর আগে, আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের মধ্য দিয়ে জনসভা শুরু হয়। মঞ্চে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় অন্যান্য নেতারা উপস্থিত আছেন।
আওয়ামী লীগ আয়োজিত এ জনসভা বুধবার দুপুর ২টায় শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সকাল থেকেই উদ্যান এলাকায় নেতাকর্মীদের ঢল নামে। রাজধানীসহ সারাদেশ থেকে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আসেন। সমাবেশস্থলে উপস্থিত নেতাকর্মীদের হাতে রয়েছে ব্যানার-ফেস্টুন। অনেকের গায়ে একই রঙের টি-শার্ট, মাথায় একই রঙের ক্যাপ শোভা পাচ্ছে। জয় বাংলা স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠেছে উদ্যান এলাকা।
এদিকে, আওয়ামী লীগের সমাবেশকে ঘিরে ব্যাপক নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি করছে।
১৯৭১ সালের ৭ মার্চ এই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানেই যুদ্ধের প্রস্তুতি নেয়ার আহ্বান জানিয়ে ভাষণ দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধুর সেই ঐতিহাসিক ভাষণটি বিশ্ব ঐতিহ্যের স্মারক হিসেবে ইউনেস্কোর স্বীকৃতি পাওয়ার পর বাংলাদেশে এই প্রথম দিবসটি উদযাপিত হচ্ছে।