বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা কর্মবিরতির ডাক দিয়েছে।
চিকিৎসকদের ওপর হামলার বিচার ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিতের দাবীতে বৃহষ্পতিবার (২২ মার্চ) রাত সাড়ে ১১ টা থেকে কর্মবিরতিতে যায় ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ইন্টার্ন ডক্টরস এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডাঃ রাজু আহমেদ জানান, বৃহষ্পতিবার সন্ধ্যায় খাদিজা আক্তার নামে এক প্রসুতি রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে স্বজনদের হামলায় ৩ ইন্টার্ন চিকিৎসক আহত হয়েছেন।
তিনি বলেন, চিকিৎসকরা কখনোই চান না কোন রোগী মারা যায়, কিন্তু ওই রোগীর অবস্থা আগে থেকেই সংকটাপন্ন ছিলো। চিকিৎসকরা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়েও তাকে বাঁচাতে পারেনি। তারপরও রোগীর স্বজনরা ইন্টার্নদের মারধর করেছে এবং ওটিতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করেছে।
তিনি বলেন, এ রকম ঘটনা প্রায়ই ঘটছে, তাই কর্মক্ষেত্রে চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ও ইন্টার্ন চিকিৎসকদের ওপর হামলার বিচার দাবীতে রাত সাড়ে ১১ টা কর্মবিরতির ডাক দেয় সাধারণ ইন্টার্নরা। যেখানে একাত্মতা প্রকাশ করেছে ইন্টার্ন ডক্টরস এ্যাসোসিয়েশন।
দাবী না মানা পর্যন্ত ধর্মঘট চলবে জানিয়ে তিনি বলেন, বৃহষ্পতিবারের হামলার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হবে পাশাপাশি খাদিজা আক্তারের দাফন হলে হামলাকারীদের গ্রেফতারের দাবী জানানো হয়েছে।
এদিকে ইন্টার্ন ডক্টরর্স এ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ডা: নাহিদ হাসান জানান, শনিবার ইন্টার্নরা তাদের দাবী নিয়ে হাসপাতাল প্রশাসনের সাথে কথা বলবেন। প্রয়োজনে দাবী আদায়ে পরিচালক কার্যালয় ঘেরাউ কর্মসূচী পালন করতে পারে সাধারণ ইন্টার্নরা।
এরআগে বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে সাধারণ ইন্টার্নরা জরুরী বিভাগের গেটে তালা দিয়ে দেয়। পরে ইন্টার্ন ডক্টরর্স এ্যাসোসিয়েশনের নেতাদের হস্তক্ষেপে তাৎক্ষনিক তালা খুলে দেয়া হয়।
উল্লেখ্য বৃহষ্পতিবার সন্ধ্যা ৭ টার দিকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে খাদিজা আক্তার (২৩) নামে ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা এক নারীর মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসময় তার গর্ভে থাকা শিশুসন্তানটিও মারা যায়। মৃত্যুর খবরে ক্ষুব্ধ হয়ে রোগীর স্বজনরা অপারেশন থিয়েটারের দরজা ভাংচুর করেন। পাশাপাশি এ সময় রোগীর স্বজন ও ইন্টার্ন চিকিৎসকের মাঝে মারামারির ঘটনা।