মুক্তিযুদ্ধে ইতিহাসের অবিচ্ছেদ্য অংশ ৭ই মার্চ উপলক্ষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের জনসভার প্রস্তুতির কাজ চলছে। দিবসটিতে প্রতিবছর আওয়ামী লীগ সমাবেশ করলেও এবারের আয়োজন পেয়েছে ভিন্নমাত্রা। কারণ ইউনেস্কো কর্তৃক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চের ভাষণ বিশ্ব ঐতিহ্যের স্বীকৃতি পেয়েছে গত বছরের অক্টোবরে।
মঙ্গলবার (৬ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশস্থল ঘুরে দেখা গেছে, সমাবেশ উপলক্ষে প্রস্তুতি চলছে পুরোদমে। অনুষ্ঠানস্থলের চারপাশ পরিষ্কার করা হচ্ছে। ব্যানার, ফেস্টুন লাগানোর জন্য চলছে টাওয়ার নির্মাণের কাজ। আর মাটিতে বাঁশ পুঁতে তার উপরে বসানো হচ্ছে রঙ-বেরঙের নৌকার পাল।
প্রস্তুতির কাজ করছেন রমজান আলী। জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই প্রথম আমরা কোনো সমাবেশে ব্যানার লাগানোর জন্য এ ধরনের টাওয়ার করছি। এরকম পাঁচটি টাওয়ার তৈরি করা হবে, পাল থাকবে ৫০টি।
আওয়ামী লীগের জনসভার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অনুষ্ঠানের মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে লেকের পূর্বপাশে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতীক নৌকার আদলেই। মঞ্চের কাজও শেষ পর্যায়ে।
অনুষ্ঠানস্থলের দক্ষিণ অংশে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) উদ্যোগে প্রস্তুত করা হয়েছে ‘হেলথ ক্যাম্প’। এছাড়া পানি সরবরাহের ব্যবস্থা ও অস্থায়ী টয়লেটের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
বিকেলে সমাবেশস্থল পরিদর্শনে আসেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ, সাধারণ সম্পাদক
এ সময় সড়ক ওবায়দুল কাদের বলেন, একাত্তরের চেতনাকে তৃণমূলে পৌঁছে দেয়ার আহ্বান থাকবে আগামীকালের (বুধবার) সমাবেশে। একাত্তরের পরাজিত সাম্প্রদায়িক অপশক্তি বাংলার মাটি থেকে এখনো নির্মূল হয়নি। সাম্প্রদায়িকতার বিষবৃক্ষ বিজয়কে সংহত করার পথে অন্তরায়। সাম্প্রদায়িক বিষবৃক্ষ উৎপাটনে জনগণের সহযোগিতা চাইবেন নেত্রী।
অন্যদিকে এ সমাবেশ বিশাল গণজমায়েতের জন্য আওয়ামী লীগের পাশাপাশি ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠনগুলোও প্রচারণা চালাচ্ছে। ৬ দিন ধরে সমাবেশের মাইকিং করছেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
ছাত্রলীগের কর্মসূচি ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক রাকিব হোসেন বলেন, আমরা ছাত্রলীগের ২০টি টিম প্রচারণার কাজ করেছি। আশা করছি বিপুল সংখ্যক লোকসমাগম হবে। তার মধ্যে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা থাকবে প্রায় ৭০ হাজার।