রূপগঞ্জ উপজেলায় একটি বাড়িতে গ্যাসের পাইপ লাইনের ছিদ্র থেকে গ্যাস জমে বিস্ফোরণে শামিম ও হেলাল বিশ্বাস রাকিব নামে দুইজন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় দগ্ধ হয়েছে আরো সাতজন।
সোমবার ভোরে উপজেলার ভুলতা ইউনিয়নের সাঁওঘাট এলাকার ওই তিনতলা বাড়ির নিচতলার এ ঘটনা ঘটে।
নিহত শামিম মেহেরপুর জেলার মজিবনগর থানার কোমরপুর এলাকার দুদু মিয়ার ছেলে ও হেলাল বিশ্বাস রাকিব ঝালকাঠি জেলার নলছিটি থানার কয়া এলাকার রহিম বিশ্বাসের ছেলে। তারা দুজন স্থানীয় নেক্সট এক্সেসরিজ লিমিটেড নামের একটি গার্মেন্ট এক্সেসরিজের কারখানার কাজ করতেন। আরো কয়েকজন সহকর্মীর সাথে ওই বাসায় মেস করে থাকতেন তারা।
আহত অন্যরা হলেন- নেক্সট এক্সোসরিজ লিমিটেডের শ্রমিক তরিকুল ইসলাম, লিয়াকত আলী, হযরত আলী, আরিফ, আনোয়ার হোসেন, ফারুক মিয়া ও আরিফুর রহমান। তাদের মধ্যে লিয়াকত ও আরিফের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
স্থানীয়রা জানান, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশে সাঁওঘাট এলাকার ওই বাড়ির মালিক রাবেয়া আক্তার মিলি নামে একজন আইনজীবী। ভোর ৩টার দিকে বিকট শব্দে ওই বাড়ির নিচতলায় বিস্ফোরণ ঘটে এবং চারপাশের দেয়াল উড়ে গিয়ে কয়েকশ ফুট দূরে গিয়ে পড়ে।
শবে বরাতের রাতের শেষে বিকট ওই বিস্ফোরণের শব্দে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে আশপাশের লোকজন গুরুতর দগ্ধ অবস্থায় ছয়জনকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে পাঠায়। আরো তিনজনকে নেওয়া হয় স্থানীয় একটি ক্লিনিকে।
ঢাকা মেডিক্যাল পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ সদস্যরা জানান, ছয়জনকে ঢাকা মেডিক্যালে আনার পর শামিম ও হেলালকে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে।
ভুলতা পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক রফিকুল জানান, ধারণা করা হচ্ছে, হাই-প্রেসার লাইন থেকে ওই বাসায় অবৈধভাবে গ্যাস সংযোগ নেওয়া হয়েছিল। শবে বরাতের রাতে মিল-কারখানা বন্ধ থাকায় গ্যাসের প্রেসার বেশি ছিল। কোনো লিকেজ থেকে পুরো বাসায় গ্যাস ছড়িয়ে পড়েছিল বলে বিস্ফোরণ ঘটেছে।
রূপগঞ্জের কাঞ্চন ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন ইনচার্জ আবদুল মান্নান বলেন, ভোর রাতে ওই বাসায় কেউ একজন চুলা জ্বালাতে গেলে বিস্ফোরণ ঘটে। পরে পুরো বাসায় আগুন ছড়িয়ে পড়ে। কাঞ্চন ফায়ার সার্ভিস দুটি ইউনিট ওই আগুন নেভাবে কাজ করেছে বলে জানানা মান্নান।