স্টাফ রিপোর্টার//তানজিম হোসাইন রাকিব:
বরিশাল-খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কের রাজাপুরের নৈকাঠি বাজার সংলগ্ন খালটি সরকারি রেকর্ডে ৭০ ফুট প্রশস্ত। বর্তমানে খালটির নাব্যতা রয়েছে ৩০ ফুটেরও বেশি। নৈকাঠি, কাঠিপাড়া, শুক্তাগড়, সাতুরিয়া, লেবুবুনিয়া, তারাবুনিয়াসহ পাশ্ববর্তী এলাকার পানির চাহিদা পূরণের একমাত্র মাধ্যম এ খালটি। এ খালের উপরের স্টিল ব্রিজটি ঝুঁকিপুর্ণ হওয়ায় বক্সকালভার্ট নির্মাণের উদ্যোগ নেয় কর্তৃপক্ষ। কিন্তু পানি সররাহের কোনো ব্যবস্থা না করেই প্রবাহমান ৩০ ফুট প্রশস্ত খালে বাধ দিয়ে ১৭ ফুট প্রশস্ত ব্রিজ নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়। এতে স্থানীয় কৃষক ও সচেতন জনসাধারণ ক্ষিপ্ত হয়।
এলাকাবাসী এ ব্যাপারে প্রতিবাদ কর্মসূচি গ্রহণ করে। প্রতিবাদ কর্মসূচিতে সাতুরিয়া ইউপি চেয়ারম্যান একাত্মতা ঘোষণা করেন। গতকাল বৃহস্পতিবারে এ উপলক্ষে নৈকাঠি বাজারে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। ঘণ্টাব্যাপী এ মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান, মনিরউজ্জামান টিপু, তাপস দেউরি, মানিক জমাদ্দার, আনোয়ার হোসেন মিলন, ওবায়দুল রহমান প্রমুখ। বক্তারা বলেন, নৈকাঠি বাজার ভারানি খালটি ৭০ ফুট চওড়া কিন্তু সড়ক ও জনপদ বিভাগ অপরিকল্পিতভাবে মাত্র ১৭ ফুট চওড়া একটি কালভার্ট নির্মাণ কাজ শুরু করেছে।
এতে খালটি সঙ্কুচিত হয়ে ওই এলাকার প্রায় ১০ হাজার একর ফসলি জমিতে ফসল উৎপাদনে পানি সঙ্কট দেখা দেবে। রাজাপুরের নৈকাঠিতে খাল সঙ্কুচিত করে ব্রিজ নির্মাণ করায় সর্বস্তরের জনমনে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে। রাজাপুরের সচেতন মহলের কয়েকজনে এ সমস্যার সমাধানে জেলা প্রশাসকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ফেসবুকে পোস্ট করেছেন। সামাজিক যোগযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এটি ভাইরাল হয়ে যায়। তাতে খালকে সঙ্কুচিত করায় নিন্দা জ্ঞাপন ও নতুনভাবে নকশা করে পুনরায় কাজ শুরু করার দাবিতে ঝড় তুলেছেন। আনোয়ার হোসেন মিলন কমেন্ট করেছেন, বিষয়টি অতি জরুরিভাবে ঊর্ধ্বতন যথাযথ কর্তৃপক্ষের নজরে নিয়ে আশু হস্তক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত, নতুবা ওই সমস্ত এলাকার মানুষ চরম বিপর্যয়ের মুখে পতিত হবে। এ ব্যাপারে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও উদগ্রিব, তবে তাহারা বলেন আমাদের কিছু করার নাই হয়তো বা কোনো ইঞ্জিনিয়ার খালের ডিজাইন পরিবর্তন করলে আমরা পরিবর্তিত ডিজাইনেই কাজ করতে পারব।
গোলাম মেসবাহ উদ্দিন কমেন্ট করেছেন, সংশ্লিষ্ট স্টিল ব্রিজের পরিবর্তে ওখানে ছোট কালভার্ট না করে পাড়গোপালপুর বিশ্বাস বাড়ি সংলগ্ন ব্রিজের মতো আরো বড় এবং প্রশস্ত ব্রিজ করা সময়ের দাবি। বিশ্বাস বাড়ির ব্রিজ ঠিক আছে কিন্তু নৈকাঠী ব্রিজটি ছোট একটি কালভার্ট করতেছে, অথচ বিশ্বাস বাড়ির খালের চেয়ে নৈকাঠী খাল অনেক বড় এবং গুরুত্বপূর্ণ।