ছুরি দেখিয়ে সাত মাস আগে ধর্ষণ করা হয়েছিল দশম শ্রেণির ছাত্রীকে৷ এরপর একাধিকবার তাকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ জানিয়েছেন নির্যাতিতা৷ কিন্তু স্থানীয় পুলিশকে অভিযোগ জানালেও তারা কোন পদক্ষেপই নেয়নি বলে অভিযোগ৷
ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের মধ্য প্রদেশ রাজ্যের সাতনাতে। এরপর অসহ্য পেটের যন্ত্রণায় ভুগতে থাকায় নির্যাতিতা বুঝতে পারে যে সে গর্ভবতী৷ বুধবার মায়ের সঙ্গে অটো করে হাসপাতালের দিকে রওনা দেয় নির্যাতিত ৷ কিন্তু পথেই তাদের আটকায় সেই ধর্ষক। এরপর তাকে এক চিকিৎসকের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে জোর করে গর্ভপাত করানো হয়।
সেই নির্যাতিতা জানান, “চিকিৎসক ভ্রুণটা একটি ব্যাগের মধ্যে ঢুকিয়ে আমাকে দিয়ে নর্দমায় ফেলে দিতে বলে৷ আমাকে অটো ভাড়ার জন্য ২০ টাকাও দেওয়া হয়৷ পাশাপাশি কাউকে কিছু জানালে আমাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দেওয়া হয়।”
প্রতিদিনের এই অত্যাচার থেকে বাঁচার আর কোনও উপায় নেই দেখে সাতনা এসপির-অফিসে গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন কিশোরী ৷ পুলিশ সুপার জানান সেই সময় তিনি অফিসে ছিলেন না ৷ তবে অভিযুক্তর বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে।