ধর্ষণের শাস্তি ‘মৃত্যুদণ্ড’ চেয়ে সাত দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ আন্দোলনরত বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
‘ধর্ষক ও খুনি একই জিনিস ভিন্ন নাম’, ‘৭ দিনের আল্টিমেটাম ধর্ষকের মৃত্যু চাই’-সহ শাহবাগে বাংলা ও ইংরেজিতে এমন অনেক দাবি সম্বলিত ফেস্টুন ও ব্যানার নিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে তারা।
বুধবার (৪ এপ্রিল) রাতে শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে এ প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে জানানো হয়, ৭ দিনের মধ্যে সারাদেশে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ধর্ষণের ঘটনায় ধর্ষকদের বিচারের আওতায় এনে চলতি আইনের ধারা পরিবর্তন করে ধর্ষকের মৃত্যুদণ্ডের বিধান দিতে হবে, নইলে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন বৃহৎ আকারে রূপ নেবে। এই ৭ দিনের মধ্যে দাবি মেনে নেওয়া না হলে কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচি সারা দেশব্যাপী দেওয়া হবে।
আন্দোলনে অংশ নেওয়া ঢাবি শিক্ষার্থী নাজমুল জানান, আমাদের এই আন্দোলনে যে কেউ অংশ নিতে পারবে। আর আমরা সারাদেশের শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষকে ধর্ষণের বিরুদ্ধে আন্দোলনে সোচ্চার হওয়ার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি। আর আয়োজক আমরা সাধারণ শিক্ষার্থী। টিএসসিতে আড্ডা থেকেই আমাদের আন্দোলনের পরিকল্পনা শুরু। এখানে ঢাবির শিক্ষার্থীরা ছাড়াও ঢাকার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও নিজ ইচ্ছায় এসেছে। আন্দোলন হচ্ছে দেখে নিজেরা ফেস্টুন বানিয়ে অংশ করেছে। আশা করি আরও করবে। শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে আমাদের আন্দোলন প্রতিদিন সন্ধ্যা থেকে শুরু হবে।
প্রতিবাদ সমাবেশের আগে সন্ধ্যায় একটি মিছিল ঢাবি থেকে শুরু হয়ে পুরানা পল্টন মোড় ঘুরে আবার শাহবাগে এসে শেষ হয়।