27 C
Dhaka
মে ৬, ২০২৫
Bangla Online News Banglarmukh24.com
অপরাধ প্রচ্ছদ প্রশাসন বরিশাল

নির্বাহী প্রকৌশলীকে লাঞ্ছিত ও হত্যার হুমকিতে বিক্ষোভ-আল্টিমেটাম

বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের (বিসিসি) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আনিসুজ্জামানকে লাঞ্ছিত ও গুলি করে হত্যার হুমকি দিয়েছেন ঠিকদার ও যুবদল নেতা মো. মোমেন সিকদার। কাজ না করেই অগ্রীম বিল চেয়ে না পেয়ে গতকাল সোমবার বেলা ২টায় নির্বাহী প্রকৌশলীকে তার দপ্তরে লাঞ্ছিত করা হয়। এক পর্যায়ে বিসিসির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রতিরোধের মুখে ঠিকাদার মোমেন সিকদার পালিয়ে যান। মোমেন সিকদার যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য।

এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে নগর ভবনে তীব্র ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। কাজ বন্ধ রেখে রাস্তায় নেমে আসেন কর্মকর্তারা। বেলা ৩টায় নগর ভবনে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জরুরী সভা এবং বিকাল ৪টায় নগর ভবন সংলগ্ন সড়কে মানবন্ধন করে। ২৪ ঘন্টার মধ্যে বিচার না পেলে তারা কঠোর আন্দোলন করার কথাও জানিয়েছেন। ঠিকাদার মোমেন সিকদার মেয়র আহসান হাবিব কামালের ঘনিষ্ঠজন হিসাবে পরিচিত। বিসিসির উন্নয়ন কাজের বেশীরভাগের ঠিকাদার হলেন তিনি। গতকাল নগর ভবনে এ ঘটনার সময় মেয়র কামাল ঢাকায় অবস্থান করছিলেন।

নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আনিসুজ্জামান জানান, নগরীর আমির কুটির ও কাউনিয়া জানসিংহ সড়কে হরিজন কলোনীতে ৩ কোটি ৬২ লাখ টাকায় পুকুরের ঘাটলা, প্রাচীর ও সিসি সড়কের নির্মান কাজের ঠিকাদার হলেন মোমেন সিকদার। ওই কাজের ২০ ভাগও এখন পর্যন্ত সম্পন্ন হয়নি। এমনাবস্থায় মোমেন সিকদার ১ কোটি টাকা বিল দাবী করেন। তিনি (নির্বাহী প্রকৌশলী) যতটুকু কাজ হয়েছে ততটুকুর বিল দিতে রাজী ছিলেন।

এনিয়ে গতকাল দুপুরে মোমেন সিকদার নগর ভবনে গিয়ে প্রথমে সহকারী প্রকৌশলী মামুনর রশিদের সঙ্গে বাকবিতন্ডা করেন। পরে নির্বাহী প্রকৌশলী আনিসুজ্জামানের কক্ষে গিয়ে তার সঙ্গে বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে মোমেন সিকদার উত্তেজিত হয়ে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ ও একাধিকবার তাকে মারতে তেড়ে যান এবং গুলি করার হুমকি দেন। উপস্থিত অন্যান্য কর্মকর্তারা তাকে নিবৃর্ত্ত করার চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হন। প্রায় আধাঘন্টা সেখানে হুলুস্থুল পরিস্থিতি চলার পর অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জড়ো হন। এ সময় মোমেন সিকদার দ্রুত সেখান থেকে সটকে পড়েন।

সহকারী প্রকৌশলী মামুনুর রশিদ বলেন, ৩ কোটি ৬২ লাখ টাকার দরপত্র আহ্বান করা হলেও মোমেন সিকদার ৩৩ ভাগ লেস দিয়ে ২ কোটি ৬০ লাখ টাকায় উন্নয়ন কাজটি নিয়েছেন। ফলে এ কাজে নিশ্চিত লোকসান হবে বুঝতে পেরে তিনি আগাম বিল তুলে নিতে তৎপর হন। সম্প্রতি বিসিসিতে সোয়া ৫ কোটি টাকা বরাদ্দ এসেছে জানতে পেরে মোমেন সিকদার হরিজন পল্লীর কাজের বিপরীতে ১ কোটি টাকা বিল দেওয়ার জন্য প্রকোশল বিভাগে চাপ প্রয়োগ করতে থাকেন। নগর ভবন ত্যাগ করার পর মুঠোফোন বন্ধ করে ফেলায় মোমেন সিকদারের বক্তব্য জানা যায়নি। নির্বাহী প্রকৌশলী আনিসুজজামান বলেন, তিনি এ ঘটনার বিচার চেয়ে মেয়রের কাছে লিখিত আবেদন করবেন।

বিসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ওয়াহেদুজ্জামান বলেন, ঘটনার সময় আমি নগর ভবনে ছিলাম না। তবে শুনেছি দুই পক্ষের মধ্যে কিছু একটা হয়েছে। কোন কর্মকর্তা-কর্মচারীর সঙ্গে ঠিকাদার অশালীন আচরন করে থাকলে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

সম্পর্কিত পোস্ট

সাতলায় বিএনপির সভাপতি-সম্পাদকের বিরুদ্ধে আ’লীগ নেতা মিজানকে অর্থের বিনিময়ে দলীয় সনদপত্র প্রদান করার অভিযোগ

banglarmukh official

তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গ্রাম পুলিশের বসত ঘরে ভাংচুর

banglarmukh official

এসএসসি পরীক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ উপহার দিলো ছাত্রদল

banglarmukh official

আইন-বিধি মেনে কাজের গতি বাড়ানোর তাগিদ

banglarmukh official

মাগুরায় ধর্ষণের শিকার সেই শিশু মারা গেছে

banglarmukh official

জাতিসংঘ মহাসচিব ঢাকায়

banglarmukh official