করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে বরিশালজুড়ে চলছে প্রশাসনিক তৎপরতা। পথে পথে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চেকপোস্ট আর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এসময় সামাজিক দূরত্ব না রাখা ও জনসমাগম করে অপ্রয়োজনীয় দোকান খোলা রাখার অপরাধে ৯ ব্যক্তি ও ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানকে ১৩ হাজার ৯০০ টাকা জরিমানা করা হয়।
শনিবার (১১ এপ্রিল) সকাল থেকে নগরীর চৌমাথা, নতুল্লাবাদ, আমতলার মোড়, সাগরদী, রুপাতলী, নতুল্লাবাদ, সদর রোড, বাংলা বাজার, চকবাজার, বটতলা বাজার, পোর্ট রোড বাজার, পলাশপুর, কাউয়ারচর খেয়াঘাট, ভাটার খাল এলাকায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করা হয়।
বরিশাল জেলা প্রশাসক এস.এম অজিয়র রহমানের নির্দেশনায় জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ নাজমূল হুদা এবং মো. মারুফ দস্তগীর ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ নাজমূল হুদা জনান, নগরীর লঞ্চঘাট এলাকায় একটি দোকানে জনসমাগম করে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত না করে আড্ডা দেয়ার অপরাধে সাজ্জাদ ও বাবুল নামের দুই ব্যক্তিকে ৪০০ টাকা জরিমানা করা হয়। বাজার রোড এলাকায় গোপাল চন্দ্র নামে এক ব্যক্তিকে অপ্রয়োজনীয় দোকান খোলা রেখে জনসমাগম করার অপরাধে ১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পলাশপুর এলাকায় একটি পোশাকের দোকানকে বার বার সতর্ক করা পরেও দোকান খোলা রেখে জনসমাগম করার অপরাধে ৬ হজার টাকা জরিমানা করা হয়। সদর রোড এলাকায় দুটি চায়ের দোকান খোলা রেখে জনসমাগম করে চা বিক্রয় করার অপরাধে ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এসময় প্রসিকিউসন অফিসার হিসাবে সহযোগিতা করেন স্যানিটারি অফিসার ও নিরাপদ খাদ্য ইন্সপেক্টর মোঃ জাকির হোসেন। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা ও গণসচেতনতা কার্যক্রম পরিচালনায় সহযোগিতা করেন ক্যাপ্টেন আল আমিন হেসেনসহ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৭ম পদাতিক ডিভিশনের সদস্যরা।
অপরদিকে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মারুফ দস্তেগীর। নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক সচেতনতা মূলক প্রচারণা চালানোর পাশাপাশি সবাইকে যৌক্তিক প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে আসতে নিষেধ করা হয় এবং এ আদেশ অমান্যাকরীর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়। এসময় তিনি কাউয়ারচর খেয়াঘাটে অধিক যাত্রী নিয়ে জনসমাগম করে খেয়া পারাপার করার অপরাধে একজন টলার চালককে ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়। পাশাপাশি ভাটার খাল সিভিল সার্জন অফিস সংলগ্ন এলাকায় অপ্রয়োজনে বাইরে ঘোরাঘুরি করা এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় না রাখার অপরাধে একজন ব্যক্তিকে ১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পরে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালের সামনে অপ্রয়োজনীয় দোকান খোলা রেখে জনসমাগম করার অপরাধে একটি দোকানকে ৩ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এসময় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় সহযোগিতা করেন বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের সদস্যরা।
অভিযান শেষে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটদ্বয় বলেন, জনগণকে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে রক্ষায় জেলা প্রশাসক এস.এম অজিয়র রহমান সদা সচেষ্ট এবং তাঁর নির্দেশনায় নিয়মিত এ ধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে।