সরকার কর্তৃক ঘোষিত লকডাউন ও হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার ঘোষনায় বেকার হয়ে যাওয়া মধ্যবিত্ত পরিবার ও কর্মহীন দিনমজুর মানুষের মাঝে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে বরিশাল নগরীর ১০নং ওয়ার্ডে
বাড়ি বাড়ি গিয়ে খাদ্য সামগ্রী বিতরন করেছেন ১০নং ওয়ার্ড কমিউনিটি পুলিশিং এর সভাপতি ও আওয়ামীলীগ নেতা তৌহিদুল ইসলাম।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ লকডাউনে রয়েছে। ফলে বিপাকে পড়েছে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশ। বাংলাদেশেও লকডাউন থাকায় প্রচুরসংখ্যক মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছে । ফলে বর্তমান পরিস্থিতিতে মানবেতর জীবনযাপন করছেন মধ্যবিত্ত পরিবার গুলো। ফলে এমন জরুরি পরিস্থিতিতে খাবার, বাসা-ভাড়াসহ আর্থিক সংকটে পড়েছেন একাধীক পরিবার। এমন পরিস্থিতি বিবেচনায় তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে ১০ নং ওয়ার্ড কমিউনিটি পুলিশিং এর সভাপতি ও আ-লীগ নেতা তৌহিদুল ইসলাম।
জানাযায় লজ্জায় মধ্যবিত্ত পরিবার গুলো কারো কাছে হাতে পেতে চাইতে পারছেন না। তাদের কথা চিন্তা করে তার বাসভবনের সামনে প্রায় ৩শ পরিবারের জন্য খাদ্য সামগ্রী প্যাকেটজাত করছেন।
গত ২দিন যাবৎ ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের মাঝে চাল , আলু ,মুসরি ডাল, সয়াবিন তৈল, ছোলা বুটের ডাল, চিনি,ও ১টি করে সাবান প্রদান করা হয়েছে। এসব সামগ্রী প্রায় ৩শ পরিবারে মাঝে বিতরণ করা হয়েছে।
তাছাড়া খাদ্য সামগ্রীসহ বিভিন্ন জনকে আর্থিক সাহায্য দেয়াসহ তার নিজ উদ্যােগে ১০নং ওয়ার্ডে জীবানু নাশক স্প্রে দিয়ে কলোনী গুলোর রাস্তা পরিস্কার করা হয়েছে।
তারই এমন উদ্যোগে ১০নং ওয়ার্ডের বাসিন্দারা স্বাগতম জানিয়েছেন ও তারা খুব খুশি হয়েছেন বলে জানানন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধীক মধ্যবিত্ত পরিবার জানান, লক ডাউনের ফলে কর্মহীন হয়ে পরেছেন। প্রতিদিন কাজ করে উপার্জনলব্ধ আয় দিয়ে সংসার চালাত। বর্তমানে কাজ বন্ধ হয়ে অভাবে দিন কাটাচ্ছে। এমন সময় তৌহিদুল ইসলামকে পাশে পেয়ে খুশি ওয়ার্ডের বাসিন্দারা।
এবিষয় তৌহিদুল ইসলাম বরিশাল নিউজ২৪কে বলেন, মহামারি করোনা ভাইরাস এর এই দুর্যোগ মুহুর্তে দিনমজুর ও অসহায়দের মাঝে আমার সামর্থ্য অনুযায়ী সহযোগিতা করতেছি। সাধারন মানুষ যেমন বিপদে রয়েছে। তেমন মধ্যবিত্ত পরিবার গুলোও বিপদে রয়েছেন। তারা লজ্জায় কারো কাছে হাতে পেতে নিতে পারছে না। তাই এমন উদ্যোগ হাতে নিয়েছি। তাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে নিজেই উপস্থিত থেকে খাবার পৌঁছে দিচ্ছি।
বিসিসির জনপ্রিয় মেয়র মহোদয় সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ বরিশালবাসীর পাশে দাড়িয়েছেন। তিনি প্রতিটি মানুষের পাশে থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে খাবার পৌঁছে দিচ্ছে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশের এমন দূর্যোগে সামর্থ্য অনুযায়ী সবাইকে পাশে দাড়াতে বলেছেন। তারই নির্দেশ মতে সামর্থ্য অনুযায়ী স্থানীয় বাসিন্দাদের পাশে থাকার চেষ্টা করছি। সব সময় পাশে আছি এবং থাকবো।
কারণ আমার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা ও ১০নং ওয়ার্ডের সাবেক কমিশনার মফিজুল ইসলাম ঝন্টু সব সময় ওয়ার্ডের প্রতিটি মানুষের পাশে সুখে দুঃখে রয়েছেন। এই মহামারি করোনা ভাইরাস দূর্যোগে কর্মর্হীন ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের পাশে থাকতে পেরে খুব ভালো লাগছে।
তিনি আরো বলেন, যার যা সামর্থ্য আছে সে অনুযায়ী এগিয়ে আসুন। অসহায়দের মাঝে সহায়তা প্রদান ও ওয়ার্ডের উচ্চবর্গের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে গরীব হতদরিদ্র মানুষকে সাহায্য করার জন্য তিনি জানান। তৌহিদুল ইসলামের এ ধরনের কার্যক্রম সাধারণ জনগনের কাছে প্রসংশনীয় হয়েছে।
করোনা ভাইরাসের কারনে কর্মহীন হয়ে পড়া অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে ই৮তোমধ্যে মানবসেবক হিসেবে সুনাম কুড়িয়েছেন
১০নং ওয়ার্ডের কমিউনিটি পুলিশিং এর সভাপতি ও আওয়ামীলীগ নেতা তৌহিদুল ইসলাম।