কাজী সা্ইফুল:
বরিশাল নগরীর কাশীপুর গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের এক ছাত্রী গণধর্ষণের শিকার হয়েছে। শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে নগরীর কলেজ রোডের (ভাষা শহীদ অধ্যক্ষ আইউব আলী খান সড়ক) সিকদার ভিলার একটি মেসে এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ওই মেস থেকে অচেতন অবস্থায় ধর্ষণের শিকার কলেজ ছাত্রীকে উদ্ধার করে শেরে-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করে।
এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ওই মেসের বাসিন্দা বি.এম. কলেজের মার্কেটিং বিভাগের ৩য় বর্ষের ছাত্র সাইফুল ইসলাম সজিবকে পুলিশ আটক করেছে। ঘটনার মূল হোতা বিএম কলেজ এলাকার চিহ্নিত দুস্কৃতকারী বখাটে রাব্বী পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেফতার সহ মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের সহাকারী কমিশনার শাহানাজ পারভীন জানান, কাশীপুর হাইস্কুল এন্ড কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ওই ছাত্রী সালমা আক্তার(ছদ্দ নাম) (১৮) নোট আনতে শুক্রবার সকালে বিএম কলেজের সামনে তার বয়ফ্রেন্ড সরকারি সৈয়দ হাতেম আলী কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ইমতিয়াজের মেসে যায়। এ সময় স্থানীয় চিহ্নিত দুস্কৃতকারী বখাটে রাব্বী ওই ছাত্রীকে জোরপূর্বক সেখান থেকে কলেজ রোডের সিকাদার ভিলার একটি ছাত্র মেসে নিয়ে যায়।
পরে ওই মেসের বাসিন্দা বিএম কলেজ ছাত্র সাইফুল ইসলাম সজিবের কক্ষে নিয়ে চেতনানাশক কিছু খাইয়ে ওই ছাত্রীকে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে রাব্বী। পরবর্তীতে রাব্বী ওই ছাত্রীকে সজিবের জিন্মায় রেখে পালিয়ে যায়। এ সময় সজিবও ওই ছাত্রীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে বলে পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানায় ওই ছাত্রী।
এর আগেই সহপাঠী বান্ধবীকে জোরপূর্বক তুলে নেওয়ার খবর পুলিশকে জানায় ইমতিয়াজ। পুলিশ কলেজ রোডের ওই বাসায় গিয়ে ওই ছাত্রীকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে শেরে-ই বাংলা মেডিকেলের ওসিসি’তে ভর্তি করে। এ সময় সন্দেহভাজন দুই ধর্ষকের অন্যতম সজিবকে পুলিশ আটক করে। ঘটনাস্থল থেকে ধর্ষণের কিছু আলামতও উদ্ধার করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। আটক সজিব বাকেরগঞ্জের পাদ্রিশিবপুর এলাকার জামান হাওলাদারের ছেলে।