বরগুনা-০২ (পাথরঘাটা-বামনা-বেতাগী) আসনের ক্ষমতাসীন দল আওয়ামীলীগের সাংসদ শওকত হাসানুর রহমান রিমনকে প্রকাশ্যে লাঞ্চিত করা হয়েছে। গত (১৮ এপ্রিল) বুধবার সন্ধ্যার পরে পাথরঘাটা উপজেলার মুন্সিরহাট বাজার এলাকায় দুই শতাধিক মানুষের উপস্থিতে চরদুয়ানী ইউনিয়নের হোগলাপাশা গ্রামের মো. সাইদুর রহমানের ছেলে ইব্রাহিম তাকে লাঞ্ছিত করেন।
স্থানীয়দের সুত্রে জানা গেছে, বছর দুয়েক আগে চরদুয়ানী ইউনিয়নের হোগলপাশা গ্রামের মো. সাইদুর রহমান একই এলাকার বিমল মাস্টারের কাছে জমি বিক্রয় করেছিল। দীর্ঘ দিন অতিবাহিত হলেও জমি বুজিয়ে না দিয়ে বিমল মাস্টারকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিয়ে আসছিল সাইদুর রহমান ও তার ছেলে। এ নিয়ে বেশ কয়েকবার শালিস বৈঠক করে মিমাংসা করার চেস্টা করে বিমল মাস্টার। দীর্ঘদিন এরওর কাছে ধর্ন্যা দরে কোন সুরাহা না পাওয়ায় বিষয়টি স্থানীয় সংসদ সদস্য শওকত হাসানুর রহমান রিমনের কাছে নিষ্পত্তি করার জন্য আবেদন করেন। পরে গত বুধবার এমপি শওকত হাসানুর রহমান রিমন ঐ এলাকায় গিয়ে ঘটনার সত্যতা যাচাই করতে যান। এসময় তিনি দেখেন, বিমল মাস্টারের ক্রয়করা জমি হওয়া সত্বেও বিমল মাস্টারের যাতায়াতের পথে বেড়া দিয়ে আটকে রেখেছে সাইদুর রহমান।
তাৎক্ষনিক সাংসদ শওকত হাসানুর রহমান রিমন এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গকে নিয়ে সাইদুর রহমান ও তার ছেলে ইব্রাহিমের কাছে বেড়া দিয়ে রাস্তা অবরোধের বিষয়টি জানতে চাইলে সাইদুর রহমান ও তার ছেলে ইব্রাহিম এমপি রিমনের বিরুদ্ধে পক্ষ পাতিত্বের অভিযোগ এনে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। এসময় সাইদুর রহমানের ছেলে ইব্রাহিম এমপি রিমনকে বটি দিয়ে কোপানোর হুমকি দেয়। বিষয়টি তাৎক্ষনিক এলাকাবাসী ও স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন বিষয়টি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে । এবিষয়ে অভিযুক্ত ইব্রাহীমের বাবা সাইদুর রহমানের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করারা জন্য বাড়িতে যাওয় বা মুঠোফোনে ফোন দেয় হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। এবিষয়ে বরগুনা-০২(পাথরঘাটা-বামনা-বেতা
অন্যদিকে এঘটনায় অভিযুক্ত ইব্রাহিমকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশের দাবী জমিজমা নিয়ে বিরোধের জেরে স্থানীয় বিমল মাষ্টারের অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এবিষয়ে পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোল্লা মো. খবির আহম্মেদ বলেন, জমাজমি নিয়ে শালিস বৈঠক হওয়ার সময় স্থানীয় এমপির উপস্থিতিতে প্রতিপক্ষকে মারধরের ঘটনা ঘটলে প্রতিপক্ষ বিমল মাষ্টার বাদী হয়ে মামলা দায়ের করলে ইব্রাহীম নামের একজন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে তিনি এমপি লাঞ্ছিত করার বিষয়টি এড়িয়ে যান।