গণধর্ষণ এর পাশাপাশি ধর্ষকদের হামলায় আহত ভোলা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের মুহুরী (কার্ড নং ৩৬১) তাসলিমা কে (৪০) উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও ভর্তির দুই দিন পরই রহস্যজনকভাবে তাকে ছাড়পত্র দেয়া হয়। গতকাল রবিবার (১৫ এপ্রিল) ওই স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠানের মহিলা সার্জারী ওয়ার্ডের ২ নং ইউনিটের ২৬ নং বেড সিটে চিকিৎসাধীন তাসলিমার চিকিৎসা সেবার মধ্যে এমন ঘটে।
ছাড়পত্র দেয়া হলেও রোগীর হাসপাতাল ত্যাগ তো দূরের কথা অন্যের সাহায্যে ছাড়া বেড সিট থেকে উঠতে পারছে না। তাসলিমা বলেন, তার স্বামী মৃত। সন্তানরা তার আয়ের উপর নির্ভরশীল। সন্তানদের মুখের দিক তাকিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেনি। তিনি মারা গেলে তার সন্তানদের দেখার কেউ নেই।
চলতি মাসের ৩ তারিখ সন্ধ্যায় আদালতের কাজ শেষ করার পর তিনি তার বসতঘরে যাবার পথে এসএ লিটন, মহাসিন, শেখ কামাল, কালা লিটনসহ ১০/১২ জন মিলে তাকে পথরোধ করে নিয়ে যায়। একটি বসতঘরে রেখে তাকে সারা রাত গণধর্ষণ করা হয়। একইসাথে সাদা কাগজ ও স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর রাখার পাশাপাশি ভিডিও করা হয় বলে জানান তাসলিমা।
সুচিকিৎসা পাওয়ার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি। একইসাথে প্রশাসনের উধর্ক্ষতন কর্মকর্তাদের প্রতি সুষ্ঠু তদন্তের অনুরোধ জানিয়েছেন। তাসলিমার মেয়ে শারমিন বলেন, তার মা অন্যের সাহায্য ছাড়া বিছানা থেকে উঠতে পারে না। এমনকি গণর্ধষণ’র ক্ষত স্থান থেকে এখনও ব্লাড ঝড়ছে। সার্জারী ওয়ার্ড থেকে অন্য কোন ওয়ার্ডে স্থানান্তর করা হয়নি।
ভোলা সদর হাসপাতাল থেকে গত শুক্রবার রাতে এই হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তার মাকে। গতকাল রবিবার হঠাৎ করে নার্স এসে তার মায়ের চলন্ত স্যালাইন খুলে ফেলে। শারমিন এ সময় তার মায়ের জন্য আনা কয়েক প্রকার ইনজেকশন ও ট্যাবলেট কি করবে?
তা জানতে চাইলে কর্মরত নার্সরা তাকে জানিয়েছেন, ঔষধগুলো ফার্মেসীতে ফেরত দিয়ে টাকা এনে বাড়ি চলে যাও। মায়ের সু-চিকিৎসা নিয়ে উদ্বিগ্ন শারমিন। ভোলা দৌলতখান মধ্যে জয়নগর এলাকার বাসিন্দা তাসলিমা।