সদ্য ঘোষিত ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে গঠনতন্ত্র লঙ্ঘন করে বিবাহিত ও অছাত্রদের পদ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। যার প্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটি করে তাদের খুঁজে বের করার কথা জানিয়েছেন সংগঠনটির সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন। মঙ্গলবার দুপুর ৩টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ আশ্বাস দেন।
সম্মেলনের এক বছর পর গতকাল সোমবার (১৩ মে) ৩০২ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করেছে সরকার সমর্থক সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। এর পরপরই অভিযোগ উঠে, কমিটিতে স্থান পাওয়া অনেকেই বিবাহিত ও অছাত্র। যার তথ্য প্রমাণ সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে প্রকাশ করে পদবঞ্চিতরা। অথচ সংগঠনটির গঠনতন্ত্রের ৫-এর গ ধারায় বলা হয়েছে, বিবাহিত ব্যক্তি ছাত্রলীগের কমিটিতে স্থান পাবেন না।
পদবঞ্চিতদের অভিযোগ, সদ্য ঘোষিত ছাত্রলীগের ৩০২ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে অন্তত ১০ জন বিবাহিত। এরা হলেন- সহ সভাপতি সোহানী হাসান তিথি, সাদিক খান, আবু সাঈদ, এস এম আতিক হাসান, ইশাত কাসফিয়া ইরা, উপ-পাঠাগার বিষয়ক সম্পাদক রুশি চৌধুরী, উপ-গণযোগাযোগ ও উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক নাজমুল হুদা সুমন, উপ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক আফরিন লাবণী, সহ সম্পাদক সামিহা সরকার, আঞ্জুমান আরা অনু।
এসব অভিযোগ প্রসঙ্গে ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন বলেন, বর্তমান তথ্য প্রযুক্তির যুগে ফেইক আইডি খুলে ছবি বানিয়ে অনেক কিছু করা যায়, সম্ভব।
তবে পদ পাওয়া কয়েকজনের বিয়ের ছবি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে প্রকাশ প্রসঙ্গে ছাত্রলীগ সভাপতি বলেন, যেহেতু বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে এসেছে, আমরা এই বিষয়ে ছাত্রলীগের যে সাবেক নেতৃবৃন্দ আছে তাদের দ্বারা সমন্বয় করে একটি কমিটি গঠন করে দেব। যদি সত্যি এগুলো প্রমাণিত হয়, তাহলে আমরা ব্যবস্থা নেব।
কী ব্যবস্থা- জানতে চাইলে তিনি বলেন, সেই পদ শূন্য ঘোষণা হলে সেখানে আমরা যোগ্যতা অনুযায়ী পূরণ করব।
রাব্বানী বলেন, আমরা তদন্ত কমিটি গঠন করে দেব এবং সবার প্রতি আহ্বান জানাব, যাদের অভিযোগ আছে তারা তদন্ত কমিটির কাছে আপনাদের দালিলিক তথ্য উপস্থাপন করুন। আমরা তদন্ত প্রতিবেদন পাবলিকলি প্রকাশ করব।
পদ না পেয়ে বিক্ষুব্ধদের আশ্বস্ত করে ছাত্রলীগ সভাপতি শোভন জানান, কিছুদিনের মধ্যেই বর্তমান কমিটি বর্ধিত করে বাদ পড়া যোগ্যদের নিয়ে আসা হবে।