বরিশাল এয়ারপোর্ট থানার দক্ষিণ কড়াপুর পাচ গাও গ্রামে পৈত্রিক সম্পতি নিয়ে বিরোধের জেরে মামলা হলে জমির উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন আদালত। এতে দীর্ঘদিন যাবত কাজ বন্ধ থাকলেও হঠাৎ করে তাতে পাকা স্থাপনা নির্মাণ কাজ শুরু করেন আক্কেল আলীর ছেলে মোঃ রফিকুল ইসলাম। উপায়ান্তর না পেয়ে ভুক্তভোগী সৈয়দ কবির হোসেন এয়ারপোর্ট থানায় অভিযোগ দিলে প্রথমে পুলিশ গিয়ে কাজ বন্ধ করে দেয়। একদিন পরেই আবার কাজ শুরু করলে পুলিশের কাছে গেলে তারা বলেন, আমাদের কিছু করার নেই। অবশেষে নিরুপায় হয়ে আবারো আদালতে গিয়ে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করেন সৈয়দ কবির হোসেন। যার মামলা নং ১৩১৯।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কবির হোসেনের চাচা সৈয়দ মোশারেফ হোসেন পৈত্রিক ১৫ শতাংশ জমি গোপনে মোঃ রফিকুল ইসলাম, পিতাঃ আক্কেল আলী ও সৈয়দ রুহুল আমিন পিতাঃ সৈয়দ আফসার হোসেনের কাছে ২০০৯ সালে বিক্রয় করে। যাহা দক্ষিন কড়াপুর মৌজা, যে এল ১৯, খতিয়ান ৬৮৪, দাগ নং ৩৮৯ । সেখানে ৬.৩ শতাংশ জমি পরে ২০১৬ সালে ওই জমি অবৈধ ভাবে দখল করে পাকা স্থাপনা নির্মাণ করতে চাইলে জমির মালিক সৈয়দ কবির হোসেন বাদী হয়ে বরিশাল বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দেওয়ানী মামলা ৭৯/১৬ দায়ের করে। আদালত ওই জমি নিয়ে চলা বিরোধ নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত উভয় পক্ষকে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দেন। বাদীপক্ষ আরও বলেন, সম্প্রতি বিবাদীরা আবারো কাজ শুরু করলে আদালতের নিষেধাজ্ঞার কাগজ এয়ারপোর্ট থানা পুলিশকে দেখালে পুলিশ নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়। কিন্তু কিছু দিন পরে মোঃ রফিকুল ইসলাম ক্ষমতার প্রভাবে আবারও কাজ চালু করে।
এ ব্যাপারে মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, পুলিশ আমাদের কাজ করতে নিষেধ করে গেছে। যেহেতু আগের মামলা আদালত বদলের কারনে ওই রায়টি বাতিল হয়ে গেছে সেহেতু আমার আর কারো অনুমতি নেয়ার প্রয়োজন নেই।
এয়ারপোর্ট থানার ওসি মাহবুব উল আলম বলেন, আদালতের নির্মাণকাজ করার নিষেধাজ্ঞা শুনে অফিসার পাঠিয়েছিলাম। নির্মাণকাজ এখন বন্ধ আছে।